জয়ের আনন্দে সপ্তম স্বর্গে ওয়েলস। ছবি: টুইটার।
ওয়েলস ৩ (রবসন, অ্যাশলে, ভোকস)
বেলজিয়াম ১ (রাদজা)
শুরুটা করেছিল বেলজিয়ামই। কিন্তু, শেষটা দারুণ ভাবে করে গেল ওয়েলস। বেলজিয়ামের রক্ষণই ছিল ওয়েলসের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে একশো শতাংশ সফল বেল অ্যান্ড কোম্পানি। ১৩ মিনিটেই ইউরোর সেরা গোল করে চমকে দেওয়া রাদজা নেইনগোলানের ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক ওয়েলস-গোলে জমা হতেই যেন বেলজিয়াম গ্যালারিতে উৎসবের শুরু। যদিও সেই উৎসব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। শুরুতে গোল করেই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে পৌঁছে যাওয়া বেলজিয়ামের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে এর পর গোলের পর গোল করে গেল ওয়েলসই। যদিও গ্যারেথ বেলের পা থেকে এল না কোনও গোল। কিন্তু, পিছন থেকে বল তৈরি করে গেলেন রিয়েল স্ট্রাইকার। ৩০ মিনিটেই রামসের কর্নার থেকে বেলজিয়াম ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ওয়েলসকে সমতায় ফেরালেন অ্যাশলে উইলিয়ামস। অধিনায়ক দলকে সমতায় ফেরাতেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু ওয়েলসের।
সেমিফাইনালে পৌঁছে সমর্থকদের শুভেচ্ছা নিচ্ছে ওয়েলস টিম। ছবি: টুইটার।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রবসন কানুর গোলে ব্যাবধান বাড়িয়ে নেয় ওয়েলস। এ বার গোলের পিছনে সেই অ্যারন রামসে। ডান দিক থেকে বক্সের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া রবসনকে লক্ষ্য মাপা ক্রস রেখেছিলেন তিনিই। ভুল করেননি রবসনও। যদিও প্রথমার্ধের শেষেই সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন তিনি। সেই আফসোস অবশ্য মিটে গেল ৫৫ মিনিটেই। স্যাম ভোকস বেলজিয়ামের বিদায়ের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়ে গেলেন ৮৫ মিনিটে। ডান দিক থেকে বেলজিয়ামের রক্ষণকে কাটিয়ে বক্সের মধ্যে ক্রস রেখেছিলেন গুন্টার। গুন্টার ও ভোকসের মাঝে বেলজিয়াম রক্ষণ সেই বল আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। মাথার টোকায় সেই বল গোলে পাঠান ভোকস।