ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে এমন দুর্দশা আগে দেখা যায়নি। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৮-এ প্রথম এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে যা এই প্রথম। সোবার্স-ভিভ-লারাদের ক্রিকেট-সংস্কৃতির হতশ্রী অবস্থায় আবার ‘পৌষমাস’ বাংলাদেশের। ন’বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফিরছেন সাকিব আল হাসানরা।
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা পাওয়ার শর্ত ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত আইসিসি-র ওয়ান ডে র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট দেশের মধ্যে থাকতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের র্যাঙ্কিং সেখানে ৯। বাংলাদেশ ৭। ৮-এ পাকিস্তান। যোগ্যতা অর্জন করা বাকি ছয় দেশ হল— বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, গতবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারত, ১৯৯৮-এর চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০০-এর চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, তেরো বছর আগের যুগ্মজয়ী শ্রীলঙ্কা ও এ বারের আয়োজক ইংল্যান্ড।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের আগুনে পারফরম্যান্সই সাকিবদের ফের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ছাড়পত্র পেতে বড় ভূমিকা নিয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ওয়ান ডে সিরিজ জিতেছে। যার জেরে দু’ধাপ এগিয়ে মাশরফি মর্তুজারা সাতে উঠে আসেন। শেষ বার বাংলাদেশ যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নেমেছিল সে বার আয়োজক ছিল ভারত। আর সাকিবরা শুধু কোয়ালিফায়ারে খেলেছিলেন। সে বার শ্রীলঙ্কা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে সে দিন যে আর নেই, সেটা দেখিয়ে দিলেন সাকিবরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০১৭ টুর্নামেন্ট ১৫ ম্যাচের। আটটি টিমকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রত্যেক গ্রুপের প্রথম দুটি টিম সেমিফাইনালে উঠবে।
এ দিকে, অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর এখন ঘোরতর সংশয়ে। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় বাংলাদেশ সফর নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। গত সোমবারই বাংলাদেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল স্টিভ স্মিথদের। কিন্তু বুধবার আবার জানা গেল অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটাররা যে যাঁর রাজ্য দলে ফিরে গিয়েছেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের জোরকদমে প্রস্তুতিও চলছে। কোনও কোনও মহল আবার এমনও বলছে হয়তো অস্ট্রেলিয়ার তরফে সফর বাতিল হওয়ার কথা বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেওয়া হবে। অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডের নিরাপত্তা বিষয়ক অফিসাররা মঙ্গলবারই দেশে ফিরে গিয়েছেন।