Sports News

শোয়েব আখতারকে খেলার সময় কী গান গাইতেন সহবাগ?

বীরু মানে বীরেন্দ্র সহবাগের খেলার স্টাইল, তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা, তাঁর বাউন্ডারি, ওভারবাউন্ডারি তো অনেকেই দেখেছি। উপভোগও করেছি তারিয়ে তারিয়ে। মাঠে বীরু নামা মানেই প্রতিপক্ষের হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। তা সে টেস্ট ম্যাচই হোক বা ওয়ানডে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ১১:০৯
Share:

ফাইল চিত্র।

বীরু মানে বীরেন্দ্র সহবাগের খেলার স্টাইল, তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা, তাঁর বাউন্ডারি, ওভারবাউন্ডারি তো অনেকেই দেখেছি। উপভোগও করেছি তারিয়ে তারিয়ে। মাঠে বীরু নামা মানেই প্রতিপক্ষের হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া। তা সে টেস্ট ম্যাচই হোক বা ওয়ানডে। মাঠে হাসি-ঠাট্টার ক্ষেত্রেও সহবাগের জুড়ি মেলা ভার।

Advertisement

সাল ২০০৮। চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তখন ভারতের টেস্ট ম্যাচ চলছে। ব্যাট করছিলেন বীরু। তিনি জানান, ব্যাট করার সময় সাধারণত গুনগুন করে গান গাওয়াই ছিল তাঁর একটা অভ্যাস। চেন্নাই টেস্টে তিনি সবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে। এই সুযোগ তো হাতছাড়াও করা যায় না। বীরু জানান, তিনি তখন গুনগুন করে একটা হিন্দি গান গাইছিলেন। গানটি ছিল— ‘তু জানে না’। বোলার প্রস্তুত তাঁকে বল করার জন্য। বীরু গান ধরলেন গুনগুন করে। কিন্তু দু’লাইন গাওয়ার পরই ভুলে যান পরের লাইনগুলি। সঙ্গে সঙ্গে ড্রিঙ্কস ব্রেক-এর বাহানায় আম্পায়ারের কাছ থেকে অনুমতি নেন। ইশান্ত শর্মা তখন ছিল ১২তম খেলোয়াড়। ড্রিঙ্কস-এর বাহানায় তাঁকেই মাঠে ডেকে পাঠান বীরু। ইশান্ত মাঠে এলে তাঁকে গানের পরবর্তী লাইনগুলো তাঁর আইপড থেকে শুনে নিয়ে জানাতে বলেন।

এ রকমই আরও কয়েকটি ঘটনা রয়েছে, যা আমরা অনেকেই জানি না। বীরুকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শোয়েব আখতার যখন বল করতে আসতেন, তখন তিনি কোন গান গাইতেন? বীরু হাসতে হাসতে বলেন, ‘আ দেখে জরা, কিসমে কিতনা হ্যায় দম’ এই গানটাই গাইতাম তখন।

Advertisement

ব্যাটিংয়ের সময় কেন গান গাইতেই বীরু?

জবাবে বীরু জানান, আসলে কোন বল বাউন্ডারিতে পাঠাব, আর কোনটা ওভারবাউন্ডারি, সেটা ঠিক করতেই গানের কলি গাইতেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়, গুরগাঁওয়ে এক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের স্ত্রীকে নিয়েও মজা করেন বীরু। সে দিন স্ত্রীকে আম্পায়ারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, “ক্রিকেটাররা যেমন মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক করতে পারেন না, তেমনি বাড়িতেও বউয়ের সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। আম্পায়ারের সঙ্গে কোনও ভাবে তর্ক করলে, পরে তিনি সেটা ভুলে গেলেও স্ত্রী কিন্তু সেই ঘটনা চিরজীবন মনে রাখে।”

নিজের আরও একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন বীরু। তিনি জানান, এক বার মাঠে খেলা চলাকালীন ইংল্যান্ডের আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ডের পেট ছুঁয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কত মাসের’? আসলে শেফার্ডের পেটটা ছিল বিশাল বড় মাপের। বীরুর এই ঠাট্টা শুনে শেফার্ডও হেসে ফেলেন।

আরও খবর...

টানা দ্বিতীয় খেতাব জিতে বর্ষসেরার দৌড়ে অদিতি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন