পিতা: ফাইভ আ সাইড হয়ে যাবে, মজা করে টুইট রুনির।
মোটা অর্থ কামানোর জন্য চিনের ফুটবল লিগে যেতে চাননি। বরং ছেলেবেলার ক্লাব এভার্টনে ফিরে যান ওয়েন রুনি। কেন? অবশেষে উত্তর দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘ছেলেবেলার ক্লাবে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম চাপ সামলাব বলে।’’
বত্রিশ বছর বয়সি ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যামের পরে ইংল্যান্ডের সেরা তারকা। এখনও তাঁকে নিয়ে ভক্তদের হইচই দেখার মতো। কিন্তু এ মরসুমেই প্রিয় ম্যান ইউ ছেড়ে তাঁকে চলে যেতে হয় এভার্টনে। ছেলেবেলার ক্লাবের হয়ে তাঁর আগ্রাসী ফুটবল দেখেই এক সময়ে রেকর্ড অর্থে তাঁকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিয়ে এসেছিলেন কিংবদন্তি ম্যানেজার আলেক্স ফার্গুসন। ‘‘আমার সামনে মোটা টাকায় চিনে চলে যাওয়ার হাতছানি ছিল। কিন্তু সেটা ওয়েন রুনি নয়। আমি ওই চাপটা চাই। চাপের মুখে ওই গোলগুলো চাই। খেলার তীব্র তাগিদটাই চলে যেতে পারত যদি আমি অন্য দেশের কোনও ক্লাবে যেতাম,’’ বলেছেন রুনি।
তেরো বছর আগে এভার্টন থেকে ম্যান ইউ-তে এসেছিলেন তিনি। তার পর আবার ফিরে গেলেন গুডিসন পার্কে। তা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি, ‘‘আমি জানতাম এভার্টনে ফিরে আসাটা অনেক বেশি চাপের হবে। তাই পুরনো ক্লাবকেই বেছে নিই। আমি আবার নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম এভার্টন ভক্তদের সামনে। পুরনো ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম।’’ ম্যান ইউ-এর জার্সিতে কিংবদন্তি তিনি। ৫৫৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৫৩ গোল। এখন তাঁর লক্ষ্য এভার্টন-কে একটা উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। ‘‘আমার জন্য এভার্টন-ই এখন সেরা জায়গা এবং আশা করি, আগামী দু’তিন বছরে আমার পুরনো ক্লাবকে সকলের সম্মানের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’’
মাত্র ১৬ বছর বয়সে এভার্টনের হয়ে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ফিরে গিয়ে স্ট্রাইকারের পোজিশন ছেড়ে মিডফিল্ডে খেলছেন রুনি। মনে করছেন, ফিটনেস এবং ফর্ম ধরে রাখার জন্য এই পরিবর্তনটা খুবই কাজে লাগবে। ‘‘দু’বছর আগে থেকেই আমি মনে করছিলাম, আমার সেরা পোজিশন হবে মিডফিল্ড। সেটা এখন ঘটতে শুরু করেছে।’’ বেশি দিন ধরে খেলার জন্য তাঁর কাছে সেরা উদাহরণ রায়ান গিগ্স। যিনি ৪০ বছর বয়সে অবসর নিয়েছিলেন।