সেরাদের কাছেও কেন বিভীষিকা প্রদুনোভা! দীপার কাছে ‘সবচেয়ে সহজ’

ভল্ট অব ডেথ। বিশ্বজুড়ে এই নামেই জিমন্যাস্টদের কাছে পরিচিত প্রদুনোভা ভল্ট। এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলসের অস্ত্রাগারেও নেই এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। হিসেবের সামান্য হেরফেরে সবচেয়ে বিপজ্জনক এই ভল্ট থেকে হতে পারে মৃত্যুও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০০:০০
Share:

দীপাই এখন পাখির চোখ।

ভল্ট অব ডেথ। বিশ্বজুড়ে এই নামেই জিমন্যাস্টদের কাছে পরিচিত প্রদুনোভা ভল্ট। এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলসের অস্ত্রাগারেও নেই এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। হিসেবের সামান্য হেরফেরে সবচেয়ে বিপজ্জনক এই ভল্ট থেকে হতে পারে মৃত্যুও। দশ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের সিমোন বাইলসের মতো সর্বকালের অন্যতম সেরা জিমন্যাস্ট বলেছেন, ‘‘প্রদুনোভা! নামটাই তো ভয় ধরানো। ওই ভল্টে শরীরটা এক পাঁজা ইঁটের মতো মাটিতে নেমে আসে। নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন।’’ তিনি কখনও চেষ্টা করবেন কি না জানতে চাইলে বাইলসের ঝটপট জবাব, ‘‘আমি মরতে চাই না।’’ রিও-য় এই মুহূর্তে দীপাই একমাত্র টিকে থাকা জিমন্যাস্ট, যিনি এই ভল্ট দিয়েছেন। সবচেয়ে বিপজ্জনক বলেই এই ভল্টে পয়েন্টও আসে সবচেয়ে বেশি।

Advertisement

রবিবার রাতে এই অস্ত্র নিয়েই অলিম্পিকে নামছেন দীপা কর্মকার। প্রথম ভারতীয় মহিলা জিমন্যাস্ট হিসাবে অলিম্পিকে যোগদানের পর ভল্টের ফাইনালে উঠে ইতিমধ্যেই নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি। তাঁর এই চমকপ্রদ পারফরম্যান্স তো বটেই, একই সঙ্গে আলোচিত হচ্ছে প্রদুনোভা ভল্ট। কী এই প্রদুনোভা ভল্ট?
জিমন্যাস্টের ইতিহাসে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচ জন সফল ভাবে এই ভল্ট দিতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে রাশিয়ান জিমন্যাস্ট ইয়েলেনা প্রদুনোভা সফল ভাবে প্রথম এই ভল্ট দেন। তাঁর নামেই এই মারাত্মক ভল্টের নাম হয় প্রদুনোভা ভল্ট। পা দু’টিকে হাত দিয়ে ধরে রেখে হাওয়ায় জোড়া সমারসল্ট দিয়ে ল্যান্ডিং। এটাই প্রদুনোভা ভল্ট। পা মুড়ে জোড়া সমারসল্ট দিয়ে নামার সময়ে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। হিসেবের সামান্য ভুলচুকে ঘাড় বা মেরুদণ্ডে হতে পারে ল্যান্ডিং। এই রকম দুর্ঘটনা হয়েছেও বেশ কয়েক বার।


১৯৯৯ সালে রাশিয়ান জিমন্যাস্ট ইয়েলেনা প্রদুনোভা সফল ভাবে প্রথম এই ভল্ট দেন।

Advertisement

১৯৮০ সালে কোরিয়ার চো জং সিল ল্যান্ড করেন মেরুদণ্ডে। আর রিংয়ে ফিরতে পারেননি তিনি। একই অবস্থা হয়েছিল রাশিয়ার এক জিমন্যাস্টেরও। সবচেয়ে বড় বিতর্কটি হয়েছিল মিশরের জিমন্যাস্ট ফাদওয়া মাহমুদের সঙ্গে। ভল্টে হিসেবের ভুল তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল প্রায় মৃত্যুর মুখে। অথচ যে পাঁচ জন সফল ভাবে প্রদুনোভা দিতে পেরেছেন, তার মধ্যে তিনি এক জন।
দীপার অবশ্য ভল্ট নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। আত্মবিশ্বাসী দীপা বলেন, “আমার কাছে প্রদুনোভাই সবচেয়ে সহজ ভল্ট। এত বার প্র্যাকটিস করেছি এটা নিয়ে আমি ভয় পাই না।”


২০১৪-র কমনওয়েল্থ গেমসে দীপা কর্মকারের প্রদুনোভা ভল্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন