একশো বছরের অভিশাপ কাটানোর চ্যালেঞ্জ চিলির

‘এমন কোনও অভিশাপ নেই যা একশো বছর থাকে।’—চিলির বিখ্যাত প্রবাদ। কোপা আমেরিকার ফাইনালে কি সেটা সত্যি করে দেখাতে পারবেন আলেক্সি সাঞ্চেজের টিম? মঙ্গলবার সেমিফাইনালে এডুয়ার্ডো ভার্গাসের জোড়া গোলে পেরুকে ২-১ হারানোর পর চিলির সমর্থকদের কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণটা খুব সহজ। কোপা আমেরিকা ফাইনালে ওঠায় ৯৯ বছর বাদে চিলি ট্রফি জয়ের সুযোগ পাচ্ছে যে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৫ ০৩:৪২
Share:

কোপায় ভার্গাসের দিন।

‘এমন কোনও অভিশাপ নেই যা একশো বছর থাকে।’—চিলির বিখ্যাত প্রবাদ।
কোপা আমেরিকার ফাইনালে কি সেটা সত্যি করে দেখাতে পারবেন আলেক্সি সাঞ্চেজের টিম? মঙ্গলবার সেমিফাইনালে এডুয়ার্ডো ভার্গাসের জোড়া গোলে পেরুকে ২-১ হারানোর পর চিলির সমর্থকদের কাছে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কারণটা খুব সহজ। কোপা আমেরিকা ফাইনালে ওঠায় ৯৯ বছর বাদে চিলি ট্রফি জয়ের সুযোগ পাচ্ছে যে। চিলি কোচ জর্জ সাম্পাওলি তো বলেই দিচ্ছেন, ‘‘একটা স্বপ্ন ফাইনালে ওঠায় সত্যি হল। যে চাপটা সেমিফাইনালে আমাদের খেলায় বোঝা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খুশি। ফাইনালে উঠে এ বার আর একটা স্বপ্ন দেখা শুরু হল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’
ঘরের মাঠে কোপার যুদ্ধে এত বড় সুযোগ আসার পর অবশ্য চিলির সামনে একটা শক্ত প্রশ্ন অপেক্ষা করছে। আলেক্সি সাঞ্চেজ কেমন ফর্মে থাকবেন? ফাইনালের চ্যালেঞ্জে কারা পড়বেন তার থেকেও এটাই এখন বড় চিন্তা সাম্পাওলিরও। ‘‘যদি আলেক্সি ফর্মে না থাকে তা হলে চিলি সেটার অভাব টের পাবে।’’ টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে চিলির ১৩ গোলের মধ্যে আর্সেনালের তারকার অবদান মোটে এক গোল। ‘‘সাঞ্চেজ ফর্মে থাকলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। ওর ফর্মের উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে,’’ বলেছেন কোচ।

Advertisement

মঙ্গলবার ম্যাচে অবশ্য সাঞ্চেজের সেরা ফর্মের দুরন্ত কিছু ঝলক দেখা যায়নি, তা নয়। বিরতির আগে চিলিকে এডুয়ার্ডো ভার্গাসের এগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও অবদান ছিল সাঞ্চেজের। কিন্তু তার থেকেও বড় হয়ে ওঠে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস জামব্রানোর লাল কার্ড দেখার বিতর্ক। চার্লস আরাঙ্গুইজের পিঠে হাঁটু চালানোর অপরাধে জামব্রানোর মাঠের বাইরে যাওয়াটা কি আদৌ অতটা কড়া ছিল? বিতর্কটা তুলে দিয়েছেন পেরুর সমর্থকরা।

পেরু যে ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠে দ্বিতীয়ার্ধে সমতাও ফেরায়। কিন্তু তার তিন মিনিটের মধ্যেই ফিরে আসে চিলি। সেটাও ভার্গাসের ২৫ গজের দুরন্ত শটে। ১০ জনে খেলা পেরু সেই ধাক্কাটা আর সামলাতে না পারায় সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে যায়। তবে সাম্পাওলির চিন্তা যেমন আছে তেমন ভরসাও আছে। সেটা ভার্গাসের দুরন্ত ফর্ম।

Advertisement

নাপোলির স্ট্রাইকার ম্যাচের পর বলেছেন, ‘‘নিজের পারফরম্যান্সে খুশি। তার চেয়েও বেশি খুশি ফাইনালে উঠে।’’ কোপা আমেরিকায় তাঁর প্রথম পাঁচ ম্যাচে চার গোল আবার নতুন নজিরও। ইভান জামোরানোর পর চিলির কোনও ফুটবলার যে কৃতিত্ব (১৯৮৭ থেকে ১৯৯১) দেখাতে পারেননি।

চিলির গোলকিপার ও বার্সেলোনায় লিও মেসির সতীর্থ ক্লদিয় ব্রাভো অবশ্য আসল উৎসবটা ফাইনালের জন্য তুলে রেখেছেন। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে গোল না খাওয়া ব্রাভো বলেছেন, ‘‘পেরু খুব ভাল খেলেছে। হয়তো ম্যাচে এ ভাবে আমাদের চাপে থাকাটা ফাইনালের আগে এক দিক থেকে ভাল। এ বার শুধু ফাইনালে সেলিব্রেশনটাই বাকি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন