জোড়া বাগানরত্ন প্রদান অনুষ্ঠান হবে।
চুনী, গুরবক্স, সৌরভ, লিয়েন্ডার— ভারতীয় খেলাধুলোয় বাংলার চার সেরা মুখকে (যাঁদের মধ্যে লিয়েন্ডার আসছেন না আমেরিকায় খেলা থাকায়) দেওয়া হবে বিশেষ পুরস্কার। মিলখা সিংহের নাম প্রথমে ঠিক করেও তিনি সময় দিতে পারছেন না বলে পরে তা বাতিল হয়েছে।
আই লিগজয়ীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। পুরস্কৃত করা হবে বর্ষসেরা ফুটবলার-ক্রিকেটারদের।
রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল না আসতে পারলেও মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী-সহ অনেকেই থাকবেন অনুষ্ঠানে।
টিকিটের জন্য শুক্রবার সন্ধেয় ক্লাব তাঁবুতে উপচে পড়ছে ভিড়। নিজেদের মাঠে কলকাতা লিগের খেলা দেখতে না পেলেও শুধু এই অনুষ্ঠানের একটা টিকিটের জন্য ছয় হাজার কার্ড পুনর্নবীকরণ হয়েছে। যা বেশ চমকপ্রদ।
১২৫ বছর পূর্তি আর তেরো বছর পর জাতীয় লিগ জয়ের জোড়া উৎসবে মোহনবাগান তাঁবু যখন ঝলমলে তখন দু’টো প্রশ্ন ক্লাব তাঁবু জুড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। এক) নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্লাব তাঁবুমুখো না হওয়া সুব্রত ভট্টাচার্য কি নেতাজি ইন্ডোরে আসবেন? দুই) বাগানকে আই লিগ জেতার গোল এনে দিয়ে ইস্টবেঙ্গলে চলে যাওয়া বেলো রজ্জাক কি তাঁর পুরনো ক্লাবের অনুষ্ঠানে দেখা দেবেন?
ক্লাব সূত্রের খবর, দু’জনেই নিজে হাতে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন।
বাগানকে অসংখ্য ট্রফি এনে দেওয়া সুব্রত জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শিলিগুড়িতে। শনিবার রাতে ফিরবেন। ‘‘মনে হচ্ছে কলকাতায় পৌঁছতে পৌঁছতে অনুষ্ঠানটা শেষ হয়ে যাবে। মনে হয় না যেতে পারব,’’ হাসতে হাসতে বলে দেন তিনি।
আর বেলো? কথা বলে মনে হল দ্বিধায় রয়েছেন। কিছু বলতে চাননি। নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, রবিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। ঠিক করিনি কী করব?
সবুজ-মেরুন কর্তারা অবশ্য চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। কর্তারা ঠিক করেছেন, যে দশ লাখ টাকা আই লিগজয়ীদের দেওয়া হবে তা ভাগ করা হবে সব ফুটবলারের মধ্যে সমান ভাবে। বেলো বা সনিরা না এলেও তাঁদের তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলারদের ডাকা হয়েছে অনুষ্ঠানে থাকার জন্য। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল বিশিষ্ট বাগান সদস্যদের আলাদা ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন, প্রাক্তন লোকসভা স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং ডাক্তার এমএস ঘোষ সংবর্ধিত হবেন।
যদিও উৎসবের বিশাল আকাশে শেষমেশ মেঘ থেকে যাচ্ছে সুব্রত আর বেলোকে নিয়ে!