স্বস্তি: উইম্বলডনের তৃতীয় রাউন্ডে জেতার পথে সেরিনা। ছবি: এএফপি
রজার ফেডেরার, সেরিনা উইলিয়ামসের স্ট্রেট সেটে চতুর্থ রাউন্ডে ওঠার মধ্যেই উইম্বলডনে বাছাই খেলোয়াড়দের বিদায় নেওয়ার পালা অব্যহত।
ফেডেরার ৬-৩, ৭-৫, ৬-২ হারান জার্মানির ইয়ান লেনার্ড স্টুফকে। উইম্বলডনে টানা ২৯টি সেটের দাপটে ম্যাচ জিতে তৃপ্ত সুইস মহাতারকা বলেন, ‘‘নিজের খেলায় খুব খুশি। প্রথম সেটে খুব বেশি সুযোগ প্রতিপক্ষকে দিইনি। দ্বিতীয় সেটে আরও বেশি সুযোগ তৈরি করেছিলাম। নিজের সার্ভিস গেমে নিখুঁত থাকতে পেরেছি সেটাই বড় কথা। এ রকম পারফরম্যান্সে খুশি হওয়ারই কথা।’’
উইম্বলডনে প্রতি বারই নামলে তিনি যে সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেন সেটা জানিয়ে ফেডেরার বলেছেন, ‘‘উইম্বলডনে নামাটা সব সময়ই বিশেষ একটা অনুভূতি। চেষ্টা করি নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার। সে যত বারই উইম্বলডনে নামি না কেন। আমার কাছে সেন্টার কোর্ট পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কোর্ট। লাখ, লাখ দর্শক আমার খেলা এখানে দেখতে এসেছেন।’’
পাশাপাশি সেরিনা শুক্রবার ৭-৫, ৭-৬ (৭-২) হারান ক্রিস্তিনা ম্লাদেনোভিচকে। সাত বারের চ্যাম্পিয়ন তৃতীয় রাউন্ডে জেতার পরে বলেন, ‘‘দারুণ খুশি। দ্বিতীয় সেটের গোড়ার দিকে ব্রেক পেয়েছিল প্রতিপক্ষ। কী ভাবে ভুলটা হল, দেখতে হবে। অবশ্য কোর্টে ফেরার পরে উইম্বলডন সেই অর্থে আমার দ্বিতীয় বড় টুর্নামেন্ট। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’’ তিনি আরও বলে দেন, ‘‘প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি এই জায়গায় উঠে আসতে। পথটা দীর্ঘ। তবে সব সময়ই আত্মবিশ্বাস ছিল, আমি ফিরে এসে নিজের সেরাটা ফের দিতে পারব।’’ চতুর্থ রাউন্ডে তাঁর প্রতিপক্ষ কে হতে পারেন তা নিয়ে জানতে চাইলে সেরিনা বলেন, ‘‘প্রতিপক্ষ কে হতে পারে সে সব ভাবছিই না। যেই বিরুদ্ধে খেলতে নামুক সেরা টেনিসটাই খেলবে। অনেক প্রথম সারির খেলোয়াড়ই এর মধ্যে ছিটকে গিয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে আমি প্রথম সারির খেলোয়াড়দের মধ্যে পড়ি না। উইম্বলডনে আরও জিততে মুখিয়ে রয়েছি।’’
তবে শুক্রবার ছিটকে গেলেন সেরিনার দিদি ভিনাস। নবম বাছাই ভিনাসকে ২০ নম্বর বাছাই কিকি বার্তেন্স তিন সেটের লড়াইয়ে হারান। ফল বার্তেন্সের পক্ষে ৬-২, ৬-৭ (৫-৭), ৮-৬। এই নিয়ে মেয়েদের সিঙ্গলসে প্রথম ১০ জন বাছাইয়ের মধ্যে আট জনই ইতিমধ্যে বিদায় নিলেন। পুরুষদের সিঙ্গলসেও বিশ্বের ৪৪ নম্বর গেল মফিস ১১ নম্বর বাছাই স্যাম কোয়েরিকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন।