জেতাটাই সেরা প্রস্তুতি, স্কটদের উড়িয়ে বললেন মাইকেল ক্লার্ক

বল হাতে মিশেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সের বিষাক্ত ছোবল। আর তার পর মাইকেল ক্লার্ক আর শেন ওয়াটসনের ঝোড়ো ব্যাটিং। দুইয়ের মিলিত চাপে অস্ট্রেলিয়ার সামনে দুমড়ে গেল স্কটল্যান্ড। শনিবার বেলেরিভ ওভালে খেলাটা একপেশে হবে, প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু স্কটদের ১৩০ তাড়া করে ১৬ ওভারেই খেলা শেষ করে দেবেন ক্লার্করা, এতটা একপেশে সম্ভবত কেউ ভাবেনি। নকআউট পর্বে নামার আগে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিল, নিজেদের ফর্মকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়া শুরু করে দিয়েছে টিম।

Advertisement

হোবার্ট

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৫ ০৩:০০
Share:

স্টার্ক। ১৬ উইকেট পেয়ে এখন বিশ্বকাপের সেরা বোলার। ছবি: এএফপি।

বল হাতে মিশেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্সের বিষাক্ত ছোবল। আর তার পর মাইকেল ক্লার্ক আর শেন ওয়াটসনের ঝোড়ো ব্যাটিং। দুইয়ের মিলিত চাপে অস্ট্রেলিয়ার সামনে দুমড়ে গেল স্কটল্যান্ড।

Advertisement

শনিবার বেলেরিভ ওভালে খেলাটা একপেশে হবে, প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু স্কটদের ১৩০ তাড়া করে ১৬ ওভারেই খেলা শেষ করে দেবেন ক্লার্করা, এতটা একপেশে সম্ভবত কেউ ভাবেনি। নকআউট পর্বে নামার আগে নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিল, নিজেদের ফর্মকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যাওয়া শুরু করে দিয়েছে টিম। ক্যাপ্টেন মাইকেল ক্লার্কই যেমন এ দিন বাড়তি ম্যাচ প্র্যাক্টিস সেরে রাখতে নিজেকে ওপেনিংয়ে তুলে আনলেন এবং দারুণ ছন্দে ৪৭ বলে ৪৭ করে দলকে সহজ জয়ের দিতে এগিয়ে দিয়ে বললেন, “টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্বটা এ বার শুরু হবে। তার আগে এই জয়টার চেয়ে সেরা প্রস্তুতি আর কিছু হতে পারত না!”

শনিবার টস জিতে স্কটদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ক্লার্ক। শুরু থেকেই স্টার্ক ও ডোহার্টির বদলে নামা কামিন্সকে সামলাতে হিমশিম খেলেন স্কটরা। ১৪ রানে ৪ উইকেট নিলেন স্টার্ক। কামিন্সের শিকার ৩-৪২। যার ধাক্কায় ছাব্বিশতম ওভারের দু’বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৩০ তুলে ড্রেসিংরুমে ফিরে যায় স্কটল্যান্ড। চোট সারিয়ে ফেরা ক্লার্ক নিজের ফর্মে “এখনও জং রয়েছে,” বললেও অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের ৪৭, ফিঞ্চের ২০ এবং ওয়াটসনের ২৬ অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৫.২ ওভারেই পৌঁছে দেয় ১৩৩-এ।

Advertisement

দিনের চার উইকেটের পর পাঁচ ম্যাচে ষোলো উইকেট নিয়ে স্টার্কই এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। গড় চমকে দেওয়া ৮.৫০। কৃতিত্বটা বোলার দিচ্ছেন টিমের বোলিং কোচ এবং প্রাক্তন তারকা পেসার ক্রেগ ম্যাকডার্মন্টকে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ স্টার্ক বলেছেন, “জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজের সময় থেকেই ক্রেগের পরামর্শ মতো খেটেছি। তার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি টুর্নামেন্টের বিজনেস এন্ড-এও এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারব।” নিজের বোলিং ধারাবাহিকতায় দারুণ খুশি দেখাচ্ছে পেসারকে। বলেছেন, “সত্যিই বলটা খুব ভাল পড়ছে। ইচ্ছেমতো একদম ঠিক জায়গায় রাখতে পারছি। তবে তার চেয়েও বড় কথা, দল জিতছে। সেটাই আসল।”

আত্মবিশ্বাসটা প্রতিফলিত ক্লার্কের গলাতেও। গোটা টিম নকআউটের জন্য বাড়তি তেতে আছে জানিয়ে যিনি বলে দিচ্ছেন, “টিমের প্রত্যেক প্লেয়ার মানসিক ভাবে একেবারে সুইচড অন। প্র্যাক্টিসে আমরা দারুণ খাটছি। আর তাতেই মাঠে নেমে কাজটা সহজ হয়ে যাচ্ছে।”

সব মিলিয়ে সামনে পাখির চোখ বাদে আর কিছুই দেখছেন না, বুঝিয়ে দিচ্ছেন ক্লার্করা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন