ত্রাতা: সেনেগালের বিরুদ্ধে গোল করে হার বাঁচানোর পরে হোন্ডাকে নিয়ে উচ্ছ্বাস ওসাকোর (১৫ নম্বর)। ছবি: গেটি ইমেজেস
সেনেগাল ২ • জাপান ২
দু’বার পিছিয়ে পড়েও নাছোড় মনোভাব আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে শেষ ষোলোয় যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই পরিষ্কার করে ফেলল জাপান। প্রতি আট বছর অন্তর গ্রুপ লিগের বাধা টপকেছে উদিত সূর্যের দেশ। ২০০২ এর পর ২০১০। তারপর আবার রাশিয়ায় ২০১৮তে। লিগ টেবলের পরিস্থিতি যা তাতে সেনেগালের সঙ্গে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আকিরি নিশানোর দল। দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে।
কলম্বিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল জাপান। জিকোর তত্ত্বাবধানে জে লিগ চালু হওয়ার পর আমূল বদলে গিয়েছে সে দেশের ফুটবল। প্রচুর অ্যাকাডেমি তৈরি করে ফুটবলার তুলে আনছে তারা। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে আসার সাত মাস আগে বিতর্কের জেরে বসনিয়ার কোচ ভাহিদ হালিওজডিককে সরিয়ে দিয়ে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আকিরি নিশানোকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাতে যে লাভই হয়েছে তা পরপর দুটো ম্যাচের ফল দেখেই পরিষ্কার।
সেনেগালের মতো দলের সঙ্গে খেলতে নেমে শুরুর এগারো মিনিটের মধ্যেই পিছিয়ে পড়েছিল জাপান। সাদিও মানের গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হাল না ছেড়ে পাল্টা আক্রমণের জন্য ঝাঁপান শিনজি কাগওয়ারা। ছোট ছোট পাস আর গতি দিয়ে সেনেগালকে চেপে ধরার ফসল পেয়ে যান তারা। তাকাসি ইনউই দুর্দান্ত সোয়ার্ভিং শটে গোল করার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দলটি চমকে যায়। বিরতির সময় খেলার ফল ছিল ১-১। তবে বল পজেসনে সামান্য এগিয়ে ছিল জাপানই। বিরতির পর ফের এগোয় সেনেগাল। গোল করে যান মুসা ওয়াগিউ। ২-১ পিছিয়ে থেকে ফের গোলের জন্য মরিয়া হয় মাকোতো হাসিবিরা। আর সেই সময়ই দলের সবথেকে সিনিয়র ফুটবলার জ্বলে ওঠেন। কেইশুকে হোন্ডার এটাই শেষ বিশ্বকাপ।