মেক্সিকোর কাছে হারের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই জার্মানি শিবিরে জারি হল ফতোয়া। যার জেরে সাংবাদিকদের থেকে দূরেই থাকলেন ফুটবলাররা।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল, ফিলিপ লামের সঙ্গে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বসবেন জার্মানির ফুটবলাররা। কিন্তু সেই অনুষ্ঠান পরে বাতিল করে দেওয়া হয়। যে ভাবে জার্মানির প্রচারমাধ্যম তীব্র সমালোচনা করেছে দলের, তা মেনে নিতে পারছেন না ফুটবলাররা।
রবিবার মেক্সিকো ম্যাচের পরে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন জার্মান কোচ ওয়াকিম লো। তিনি বলেন, ‘‘এই হার আমাদের শেষ করে দেবে না। আমরা এখান থেকে ঠিক ঘুরে দাঁড়াব।’’
লো এই কথা বললেও প্রাক্তনরা বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না। জার্মানির কিংবদন্তি ফুটবলার পল ব্রাইটনার যেমন বলেছেন, ‘‘আমাকে একটা জিনিস খুব চিন্তায় ফেলেছে। মাঠে যখন দলটা কোনও সমস্যায় পড়েছে, তখন সমাধান বার করার মতো কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। দলটাকে এ রকম অসহায় দেখে খুব হতাশ লাগছে।’’ ব্রাইটনারের উদ্বেগের কারণ, ম্যানুয়েল নয়্যার দলে ফিরলেও তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে দেখছেন না।
এরই মধ্যে আবার কোচের রণনীতির সমালোচনা শোনা গিয়েছে দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার ম্যাটস হুমেলসের মুখে। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন দেখা যাচ্ছে একটা দলের সাত-আট জন ফুটবলার আক্রমণ করছে, তখন বোঝা যাচ্ছে ডিফেন্সের ভারসাম্যে কোনও সমস্যা আছে।’’ জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার যোগ করেন, ‘‘আমরা যেটা আলোচনা করছি, সেটা মাঠে করে দেখাতে পারছি না। স্বীকার করতেই হবে, আমাদের ডিফেন্স সমস্যায় পড়ে যাচ্ছিল। বেশির ভাগ সময়ই দেখছিলাম, আমি আর জেরোম (বোয়াতেং) একা পড়ে গিয়েছি ডিফেন্সে। তাই ওরা যখনই আক্রমণে উঠছিল, আমাদের দুর্বলতাগুলো ধরা পড়ে যাচ্ছিল।’’
জার্মানির আর এক ফুটবলার টোনি খোস বলেছেন, ‘‘মেক্সিকোর ফুটবলের কোনও জবাব ছিল না আমাদের কাছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলি। মেক্সিকো কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরা গোল করতে পারিনি।’’