আশায়: ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হলে লুই সাহ অবাক হবেন না। ফাইল চিত্র
দিদিয়ে দেশঁর দল যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জেতে, তা হলে সেই জয়ে বড় ভূমিকা নেবে ফ্রান্সের মাঝমাঠ। বলছেন ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এক ফুটবলার, লুই সাহ।
শুক্রবার মুম্বই থেকে আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাব যখন দেন লুই, তখনও ব্রাজিল বনাম বেলজিয়াম ম্যাচ শুরু হয়নি। কিন্তু মনের ইচ্ছেটা প্রকাশ করে ফেললেন তিনি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড এবং ফ্রান্সের প্রাক্তন স্ট্রাইকার বলে দিলেন, ‘‘খুব করে চেয়েছিলাম, ব্রাজিল-ফ্রান্স ফাইনাল হোক। কিন্তু সেটা তো হবে না। বেলজিয়াম, ব্রাজিল— যে-ই জিতুক, দেখা তো শেষ চারে হবে।’’
উরুগুয়ের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে দু’গোলে জিততে বিশেষ সমস্যা হয়নি ফ্রান্সের। যেখানে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিল দলের মাঝমাঠ। লুই মনে করছেন, ফ্রান্সের মাঝমাঠ বিপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। ‘‘ফ্রান্সের মাঝমাঠ দারুণ খেলছে। বিশেষ করে এনগোলো কঁতে এবং পল পোগবার জুটি মাঠ শাসন করছে। কঁতে তো গোটা মাঠ জুড়ে খেলছে। এ রকম আমি কখনও দেখিনি। ক্লদ ম্যাকেলেলেও কখনও বলতে পারবে না, এ রকম দৌড়ত। সঙ্গে পোগবাও আছে। তবে পোগবার থেকে আমি একটু বেশি কিছু চাই,’’ বলছিলেন ফ্রান্স এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন স্ট্রাইকার।
কী সেটা? সোনি পিকচার্স নেটওয়ার্কের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে থাকা লুই বলছেন, ‘‘পোগবার ক্ষমতা আছে বিপক্ষকে শেষ করে দেওয়ার। ও মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে বিপক্ষের রক্ষণ দুরমুশ করে আসতে পারে। গোল করে ম্যাচ শেষ করতে পারে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আমরা সেটা দেখেছি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির বিরুদ্ধে উঠে এসে একটা গোল করেছিল পোগবা। বিশ্বকাপে সে রকম কিছু দেখা যেতেই পারে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যান, কিলিয়ান এমবাপেরা অনেক চাপমুক্ত মনে খেলতে পারছে, এ রকম একটা মাঝমাঠ থাকায়।’’
শুক্রবারের ম্যাচে কিছুটা নিষ্প্রভই ছিলেন এমবাপে। কিন্তু তাও এই ফ্রান্স দলটার অন্যতম সেরা অস্ত্র যে এই স্ট্রাইকার, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই লুইয়ের। ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার থিয়েরি অঁরির সঙ্গে তুলনা শুরু হয়েছে এমবাপের। ১৯ বছরের এই স্ট্রাইকার কি ভবিষ্যতের অঁরি হয়ে উঠতে পারেন? জবাবে লুই বললেন, ‘‘ও অঁরির মতোই দ্রুতগতির। তাই যখন বল নিয়ে ছুটতে থাকে, অঁরির মতোই দেখায়। তবে আমি আরও একটা কথা বলতে চাই। অঁরির নিজস্ব কিছু স্টাইল ছিল। এমবাপেরও আছে। কিন্তু এমবাপে আরও বেশি কিছু করতে পারে অঁরির থেকে।’’
কেন এ কথা বলছেন? লুইয়ের ব্যাখ্যা, ‘‘এমবাপে নিজের জন্য সুযোগ তৈরি করে নিতে পারে। ও বল নিয়ে ডান দিকে, বাঁ দিকে— যে দিক দিয়ে খুশি ঢুকতে পারে। ডিফেন্ডারদের পিছনে চলে যেতে পারে অনায়সে। আর গতিতে কেউ পাল্লা দিতে পারবে না। মাথায় রাখতে হবে, ১৯ বছরের একটা ছেলে এই সব করছে। তাও এখনও বার্সেলোনার মতো ক্লাবে খেলেনি এমবাপে।’’