Tokyo Olympics

করোনার ভয়ে অলিম্পিক্স মশাল নিয়ে দৌড়নো হচ্ছে না বিশ্বের ‘দিদা’ ১১৮ বছরের কানে তানাকার

দেশে করোনার দাপট বাড়তেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানো ১১৮ বছরের কানে তানাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ২০:০৫
Share:

অলিম্পিক্স মশাল হাতে দেবেন না গোটা বিশ্বের ‘দিদা’ কানে তানাকা। ফাইল চিত্র

শুধু জাপানের কাছে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে তিনি ‘দিদা’। বিশ্বের সবথেকে বেশি বয়সী এই মহিলা জাপানের কানে তানাকা। ১১৮ বছরের এই জাপানি মহিলার আসন্ন টোকিয়ো অলিম্পিক্সের মশাল বহন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই দেশে করোনার দাপট বাড়তেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখানো এই মহিলা। তিনি চান না কোনও ভাবে নিজে করোনা সংক্রমিত হয়ে যান এবং যে হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা করাতে যান, সেখান থেকে এই ভাইরাস দেশের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ুক।

Advertisement

আগামী ১১ মে জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফুকুওকা থেকে অলিম্পিক্স মশাল রিলেতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাপানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। তাই এসব বিবেচনা করে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মহিলা কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন। সেই জন্য তাঁর হাসপাতাল থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ওঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। সপ্তাহে কয়েক দিন হাসপাতালে আসার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় অলিম্পিক্সের মশাল বহন করতে গিয়ে ভাইরাসে আক্রান্ত হলে হাসপাতালের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষ ও দেশের অনেক সাধারণ মানুষ সংক্রমিত হতে পারেন। তাই সবার কথা ভেবে কানে তানাকা নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন’।

মার্চ মাসে শুরু হওয়া অলিম্পিক্সের রিলেতে অংশ নিতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আটজন সংক্রমিত হয়েছেন। গত মাসে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়ার পর টোকিয়ো ও ওসাকা-সহ বড় বড় শহরগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। তাই দেশের মানুষের স্বার্থে সরে দাঁড়ালেন জাপানের ‘দিদা’।

Advertisement

কানে তানাকার জন্ম ১৯০৩ সালে। ২০১৯ সালে মার্চ মাসে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তি হিসেবে গিনেস বুকে স্থান পেয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন