সন্দেহটা ছিলই। ডোপের দায়ে ধরা পরার পরই নরসিংহ দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। একই মত ভারতীয় রেসলিং ফেডারেশনেরও। নরসিংহের উপর বিশ্বাস রাখছে ফেডারেশন। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুরোটাই চক্রান্ত। চক্রান্তের শিকার হয়েছেন নরসিংহ।
ফেডারেশনের এই সমর্থন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করবে নরসিংহকে। এর মধ্যেই উঠে এসেছে নতুন আরও এক তথ্য। সোনপত সাইয়ে যাঁর সঙ্গে এক ঘরে থাকতেন নরসিংহ সেই সন্দীপ যাদবও ডোপ টেস্টে পাস করতে পারেননি। যদিও তাঁর অলিম্পিকের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। নরসিংহর নাম যে দিন সামনে এল তার পর দিনই উঠে এল তাঁর রুম মেটের নাম। যা থেকে এই তথ্য আরও বেশি সামনে চলে আসছে। ফেডারেশনের তরফে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সহ-সচিব বিনোদ তোমর বলেন, ‘‘আসল ঘটনা হল একই নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে নরসিংহর রুম মেটের শরীরেও। যা থেকে এটা পরিষ্কার যে এই পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত। দু’জনেরই নমুনায় যে পরিমানে স্টেরয়েড পাওয়া গিয়েছে সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কেন কেউ এত হাই ডোজ নেবে। বোঝাই যাচ্ছে পুরো ঘটনাটি পরিকল্পনা করেই ঘটানো হয়েছে।’’ এ ছাড়া ওই শিবিরে কারও নমুনায় কিছুই পাওয়া যায়নি। তোমরের কথায়, ‘‘একমাত্র এই দু’জনের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া যাওয়াটাই সব থেকে বেশি সন্দেহের কারণ।’’ নাডার ডিরেক্টর নবীন আগরওয়াল রবিবার নিশ্চিত করে জানান, নরসিংহর ‘বি’ স্যাম্পেলে নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে। এটি ‘মেথানডিয়েনোন’ যা একটি নিষিদ্ধ অ্যানাবলিক স্টেরয়েড। পুরো ঘটনায় আপাতত নরসিংহের অলিম্পিক যাওয়া অনিশ্চিত।
যদিও ওই কুস্তিগীর নিজেকে, নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। আমি কখনও কোনও নিষিদ্ধ কিছু ব্যবহার করিনি।’’
৭৪ কেজি ফ্রি স্টাইলে সুশীল কুমারের জায়গায় অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছিলেন নরসিংহ। তা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত ফেডারেশন থেকে আদালত সকলের রায়েই নরসিংহর অলিম্পিক যাওয়া নিশ্চিত হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তের এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেডারেশন। চিন্তায় নরসিংহও। যদিও তিনি একান্তই না যেতে পারেন, তাঁর জায়গা ফাঁকাই থাকবে। পরিবর্ত খেলোয়াড় পাঠানোর নিয়ম নেই।
‘কলঙ্কিত’ নরসিংহের শেষ আশা নাডার শুনানি