ক্যাপ্টেনের আদর। উপ্পলে। ছবি: টুইটার।
বিরাট কোহালির মঞ্চে ছাপ ফেলে গেলেন তিনিও। টেস্ট কেরিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে। তবে বৃহস্পতিবার উপ্পলের ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে ক্যাপ্টেনের মতোই তাঁর ভয়ডরহীন ব্যাটিং। তাও এক বার স্টাম্প আউট হতে হতে বেঁচে যাওয়ার পর। তিনি— ঋদ্ধিমান সাহা। এখানেই শেষ নয়, তাঁর সেঞ্চুরিটাও এল ছয় মেরে।
ভয়ডরহীন ক্রিকেটের রহস্যটা দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ফাঁস করলেন ঋদ্ধি। ‘‘বিরাটই বলেছিল, এখনই এসেছিস তো কী, যদি চালানোর বল হয় চালিয়ে খেলবি। বিরাট সব সময় এই আত্মবিশ্বাসটা জুগিয়ে যায়। যেটা একটা প্লাস পয়েন্ট,’’ বলেন বঙ্গ কিপার। টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এল ১৫৩ বলে, সাতটা চার আর দু’টো ছয়ে।
ঋদ্ধি স্বীকার করছেন, শুক্রবার ভাগ্যের সাহায্য কিছুটা পেয়েছেন। ‘‘ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছি। মুশফিকুর চেষ্টা করেছিল কিন্তু স্টাম্প করতে পারেনি। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় যখন উইকেট ভাঙতে পারল, তখন আমি ক্রিজের ভিতরে চলে এসেছি। সম্ভবত এই সেঞ্চুরিটা আমার ভাগ্যে ছিলই।’’
শুক্রবার বিরাটের ডাবল সেঞ্চুরিতে ডন ব্র্যাডম্যান, রাহুল দ্রাবিড়কে ছাপিয়ে যাওয়া আর ঋদ্ধির সেঞ্চুরির জোরে ভারত ৬৮৭-৬ তুলে প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। রানের পাহাড়ে বাংলাদেশকে ঢেকে দেওয়ার পর মুশফিকুর রহিমরা ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে এক উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪১।
তবে বিশ্বরেকর্ড করলেও মাঠে বিরাটকে সে ভাবে সেলিব্রেট করতে দেখা যায়নি। ঋদ্ধি বললেন, ‘‘বিরাটের কাছে এটা স্রেফ আর একটা মাইলস্টোন। তাই ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে বেশি মাতামাতি করেনি।’’
বিরাট কোহালির টিমে এটাই স্বাভাবিক। চোট সারিয়ে ফিরে এসে প্রথম টেস্টে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকবেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। জীবনের তিন নম্বর টেস্টে নেমে জয়ন্ত যাদব সেঞ্চুরি তুলে নেবেন (ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে), করুণ নায়ারের মতো টেস্টে আনকোরা ব্যাটসম্যান ট্রিপল সেঞ্চুরি করবেন।
ঋদ্ধি বলছিলেন, ‘‘কোনও ক্রিকেটার চোট পাওয়ার পর যদি তাঁকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় চোট সারিয়ে উঠলেই তুমি দলে আসবে তাহলে তাঁর মোটিভেশন তো বাড়বেই। মাঠেও সেটা প্রতিফলিত হবে।’’ বাংলার কিপার-ব্যাটসম্যান সুযোগটা দু’হাতে কাজে লাগালেন। ইংল্যান্ড সিরিজে চোট পাওয়ার পর পার্থিব পটেল তাঁর জায়গায় ভাল পারফর্ম করার পরও। ‘‘পার্থিব ভাল খেলেছিল। হয়তো ইরানি ট্রফিতে আমার ডাবল সেঞ্চুরির পরই নির্বাচকরা এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন,’’ বলছিলেন ঋদ্ধি। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘টি ব্রেকের পর সঞ্জয় বাঙ্গার আমায় বলল তোর সেঞ্চুরি করতে আর ১৭ রান বাকি। তাই প্রথমে সোজা ব্যাটে খেলে ১৭ রান তুলে নে। তার পর বড় শট মার। মাত্র ২০টা টেস্ট খেলেছি বলে এই সেঞ্চুরিটা আমার জন্য বড় মাইলস্টোন। তাই সঞ্জয় ভাইয়ের পরামর্শটা শুনে খেলেছি।’’