মহড়া: মোহনবাগান মাঠে স্কুপ শট অনুশীলন ঋদ্ধির। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
এক জন উত্তরে, তো অন্য জন দক্ষিণে। বাংলার ক্রিকেটের দুই তারকা এ বার আইপিএলে দেশের দুই প্রান্তে। মনোজ তিওয়ারি থাকবেন কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবে। ঋদ্ধিমান সাহার ঠিকানা হায়দরাবাদ।
মনোজের লড়াইটা বেশি কঠিন। কিংগস শিবিরের ব্যাটিং বিভাগ তারকায় ঠাসা। ক্রিস গেল, অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড মিলার, কে এল রাহুল, যুবরাজ সিংহ, ময়ঙ্ক অগ্রবাল, করুণ নায়ার-দের সঙ্গে লড়ে প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়া সহজ নয়। বাস্তবটা স্বীকার করে নিয়েই বৃহস্পতিবার মোহনবাগান মাঠে ক্লাবের অনুশীলনের পরে বাংলার অধিনায়ক বলেন, ‘‘দলে জায়গা পেতে যে লড়াই করতে হবে আমাকে, তা জানি। তাই কার্যকারিতা বাড়াতে নিয়মিত বোলিং করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করেছি। তৈরি হয়েই যাচ্ছি। এ বার টিম ম্যানেজমেন্ট কি কম্বিনেশন চায়, দেখা যাক।’’
ঋদ্ধিমানের আবার অন্য চিন্তা। ব্যাটিং অর্ডারে ঘনঘন বদল নিয়ে আপত্তি তুলেছেন টেস্ট দলের উইকেটকিপার। ২০১৪-র ফাইনালে সেঞ্চুরি করা ঋদ্ধিকে আর কোনও আইপিএলে তেমন ভাবে চোখে না পড়ার অন্যতম কারণ সেটাই বলে মনে করছেন তিনি। ঋদ্ধির বক্তব্য, ‘‘যদি একজন ব্যাটসম্যান জানতে পারে সে পরপর দু-চারটে ম্যাচে একই জায়গায় ব্যাট করবে, তা হলে একটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা যায়। যখন-তখন যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে বললে সমস্যা হয়। সেটাই হচ্ছে আমার সঙ্গে।’’ যোগ করছেন, ‘‘গতবার মুম্বইয়ে যে ৯৩ (নট আউট) করেছিলাম, সেই ম্যাচে আচমকা আমাকে বলা হয়, তুমি খেলছ আর ওপেন করছ। তা-ও টস হয়ে যাওয়ার পরে। অবশ্য সবাইকে তৈরি থাকতেই হয় যে কোনও পরিস্থিতির জন্য।’’
এ বার তাঁর পছন্দের ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম ঋদ্ধির। সানরাইজার্সের ওপেনিং জুটি ওয়ার্নার-ধবনকে কে পাল্টাতে চাইবে? সেটা স্বীকার করে নিয়ে ঋদ্ধি বললেন, ‘‘আমাকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হবে নিশ্চয়ই। আমাদের দুই ওপেনারই তো দুর্ধর্ষ। শুরুটা যদি ভাল হয়, তা হলে মিডল অর্ডারে চাপটা কম থাকবে আশা করি।’’ শেষ আইপিএলে পুণের হয়ে সফল মনোজ বলছেন, ‘‘গতবারের ইনিংসগুলোর ভিডিও দেখছি এখন। এগুলো নিজের কাছে রাখি আমি। শট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঠিক-ভুলগুলো বুঝতে পারি।’’
আরও পড়ুন: টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১০টি ইনিংস
ভারতীয় ক্রিকেট মহল এখন আচ্ছন্ন শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে দীনেশ কার্তিকের দুরন্ত ইনিংস নিয়ে। শেষ বলে ছক্কা মেরে জেতান কার্তিক। সেই ইনিংসে মারা ‘স্কুপ’ শট এ দিন অনুশীলন করতে দেখা গেল ঋদ্ধিমান-কেও।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। অগস্টে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই কঠিন হবে বলে মনে করেন ঋদ্ধি। বলছেন, ‘‘বিদেশে সব সিরিজই কঠিন। ইংল্যান্ডে গিয়ে ওদের হারানো সহজ হবে না। ইংল্যান্ডে ‘এ’ টিমের হয়ে খেলেছি। ওখানে কিপিংটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। হাওয়ার জন্য বল সুইং করে বেশি। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াও থাকে। এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে ওখানে আগেভাগে চলে যাওয়া ভাল। দেখা যাক বোর্ড কী করে।’’