দাপট: দুবাইয়ে ইয়াসির শাহের ঘূর্ণিতে বিপদে নিউজিল্যান্ড।—ছবি এএফপি।
ছোটবেলা থেকে তাঁর স্বপ্নের ক্রিকেটার ছিলেন শেন ওয়ার্ন। দুবাইয়ে সেই ওয়ার্নকেই মনে করালেন ইয়াসির শাহ। পাকিস্তানের এই লেগস্পিনারের ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে ৪০ রানের মধ্যে দশ উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের পাঁচ উইকেটে ৪১৮ রানের জবাবে সোমবার একটা সময় নিউজিল্যান্ডের রান ছিল বিনা উইকেটে ৫০। সেখান থেকে পরের ১৪ ওভারে মাত্র ৪০ যোগ করে ৯০ রানে শেষ হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ইয়াসির নেন ১২.৩ ওভারে ৪১ রানে আট উইকেট। এর পরে ফলো অন করে দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দু’উইকেটে ১৩১। দ্বিতীয় ইনিংসের দু’টো উইকেটই পেয়েছেন ইয়াসির। সব মিলিয়ে দিনে ১০ উইকেট। সেই ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনিল কুম্বলের টেস্টে এক দিনে ১০ উইকেট পাওয়ার পরে ইয়াসিরই হলেন প্রথম বোলার, যিনি এক দিনে ১০ উইকেট পেলেন। কুম্বলে অবশ্য এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন।
সাম্প্রতিক অতীতে টেস্ট ক্রিকেটে সেরা লেগস্পিনের নিদর্শনের পাশাপাশি ওয়ার্নের সেই ‘শতাব্দীর সেরা বল’-এর স্মৃতিও ফিরিয়ে আনলেন ইয়াসির। লেগস্টাম্পের বাইরে বল ফেলে গ্যাটিংয়ের অফস্টাম্প নড়িয়ে দিয়েছিলেন ওয়ার্ন। অনেকটা একই ভাবে এ দিন রস টেলরকে আউট করেন ইয়াসির। লেগ-মিডলে পড়া বল টেলরের ব্যাট এড়িয়ে স্টাম্প নড়িয়ে দেয়। লাঞ্চের ঠিক আগে এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে ধস নামানো শুরু করেন ইয়াসির।
আরও পড়ুন: বিরাটের পাশে রান করতে হবে অন্যদেরও, মত গিলক্রিস্টের
ইয়াসিরের এই বোলিং নিঃসন্দেহে তাঁকে বিশ্বের সেরা লেগস্পিনারদের সঙ্গে তুলনায় নিয়ে আসবে। শাহিদ আফ্রিদি তো টুইটই করেছেন, ‘‘স্বপ্নের দিন গেল ইয়াসিরের। পাকিস্তানের সেরা স্পিনার হওয়ার দিকে এগোচ্ছে ও।’’ এ ছাড়া পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন ক্রিকেটারও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন ইয়াসিরকে।
আরও পড়ুন: লিনকে রান আউট, বুমরাকে ‘নতুন জন্টি’ বলছেন ক্রুণাল