Zimbabwe

ক্রিকেট বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, জিম্বাবোয়েকে নির্বাসিত করল আইসিসি

বোর্ডের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়েও আইসিসি-র বিধি লঙ্ঘন ও অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়। সেই প্রমাণ আইসিসি-র হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসে তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০০:৪৫
Share:

মাঠে কবে আবার এই দৃশ্য দেখা যাবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

রাজনৈতিক ‘দাদাগিরি’র বলি হল জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট দল। স্বশাসিত ক্রিকেট বোর্ডের উপর সে দেশের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ভাল চোখে দেখল না আইসিসি। বৃহস্পতিবার লন্ডনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার বার্ষিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিম্বাবোয়েকে নির্বাসিত করার কথা ঘোষণা করে আইসিসি।

Advertisement

আইসিসি-র সংবিধানে ২.সি ও ২.ডি ধারা অনুযায়ী, স্বশাসিত ক্রিকেট বোর্ডের উপর কোনও ভাবেই কোনও প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হয় না। কিন্তু জিম্বাবোয়ে এই বিধি প্রায়শই লঙ্ঘন করছিল। দেশের সরকারের তৈরি সংস্থা ‘স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন’ জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে প্রভাবিত করছিল ও তাদের কাজকর্মে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল।

এর আগে স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক উপায়ে বোর্ডের নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে আইসিসি নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয় জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট বোর্ড। বরং সেখানেও ঢুকে পড়ে কদর্য রাজনীতি ও দুর্নীতি। জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়েও আইসিসি-র বিধি লঙ্ঘন ও অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়। সেই প্রমাণ আইসিসি-র হাতে আসতেই নড়েচড়ে বসে তারা।

Advertisement

শুধু বহিষ্কারই করা হয়নি, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আর্থিক সহযোগিতাও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা থেকে প্রতি বছর ৯ মিলিয়ন ডলার পেত জিম্বাবোয়ে। এই শাস্তির জেরে আইসিসি-র পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আইসিসি পরিচালিত কোনও ইভেন্টে অংশ নিতে পারবে না জিম্বাবোয়ে। ফলে অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে চলা পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে অংশ নেওয়া নিয়েও সমস্যার মুখে পড়ল জিম্বাবোয়ে। যদিও আইসিসি তাদের তিন মাসের মধ্যে নয়া বোর্ডের পরিকাঠামো তৈরি করার একটা সুযোগ দিয়েছে। এর পর অক্টোবের বোর্ড মিটিংয়ে আইসিসি ঠিক জিম্বাবোয়ের বিষয় নিয়ে আবারও সিদ্ধান্ত নেবে।

জিম্বাবোয়ের বহিষ্কার নিয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর বলেন, ‘‘আমরা সদস্য পদ বাতিল করার বিষয়টিকে একটুও হালকা ভাবে নিচ্ছি না। আমরা চাই খেলাধুলা রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বাইরে থাকুক। জিম্বাবোয়েতে যা ঘটেছে, তাতে আইসিসির সংবিধান গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে। তাই কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই আমরা। তবে আইসিসি চায় জিম্বাবোয়ের ক্রিকেট আগের জায়গায় ফিরুক, তবে তাদেরকেও অবশ্যই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন