‘ক্রিকেট কিট পুড়িয়ে এ বার কি নতুন চাকরির খোঁজ করব আমরা?’

আইসিসি-র সিদ্ধান্ত জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটকে স্তব্ধ করে দেওয়ার মতোই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা,

হারারে শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ১৮:৪৭
Share:

আইসিসি-র এক সিদ্ধান্তে জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটে অন্ধকার। ছবি: জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটের ফেসবুক পেজ থেকে।

আইসিসি-র বার্ষিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া সিদ্ধান্তটা ছড়িয়ে পড়তেই জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটাররা ভেঙে পড়েছেন। নিজেদের ভবিষ্যৎ এখনও জানা নেই তাঁদের।

Advertisement

দেশীয় ক্রিকেটের উপরে আইসিসি-র নির্বাসনের খাঁড়া নেমে আসায় আতঙ্কিত জিম্বাবোয়ের অলরাউন্ডার সিকন্দর রাজা। তাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার কি শেষ হতে চলেছে? ভবিষ্যতই বা কী? জানেন রাজা। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিকন্দর রাজা বলেন,‘‘ক্লাব ক্রিকেট খেলার রাস্তা কি আমাদের জন্য খোলা রয়েছে? নাকি ক্রিকেটই আর আমাদের ভাগ্যে নেই? আমাদের ক্রিকেট কিট পুড়িয়ে ফেলে নতুন চাকরির জন্য কি এ বার আবেদন করবো? কী যে করবো, তা আমরা কেউই জানি না।’’ আইসিসি-র সিদ্ধান্ত জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটকে স্তব্ধ করে দেওয়ার মতোই।

জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে যে নির্বাসিত করা হবে সেই আশঙ্কা ছিল গত মাস থেকেই। দেশের সরকারের সংস্থা ‘স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন’ জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে প্রভাবিত করছিল এবং তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছিল। পরে অন্তর্বর্তী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। স্বশাসিত ক্রিকেট বোর্ডের উপরে এই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপকে ভাল ভাবে নেয়নি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। জিম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডকে নির্বাসিতই করা হল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ধোনিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে, বললেন গম্ভীর

আরও পড়ুন: একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলাম, স্বীকার করলেন পাক অলরাউন্ডার

আইসিসি-র এ হেন সিদ্ধান্তের পরেই হতাশা, ক্ষোভ,অভিমান এই শব্দগুলোই পাক খাচ্ছে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটমহলে। সিকন্দর রাজার মনে পড়ে যাচ্ছে, গত বছরের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের কথা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে হেরে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবোয়ে। সেই ম্যাচটা জিততে পারলেই এ বার বিলেতে খেলতে দেখা যেত জিম্বাবোয়েকে। সেই হারের যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটমহল। তবে আইসিসি-র এই সিদ্ধান্তে হতবাক সবাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের এক সিদ্ধান্তে ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎই এখন অন্ধকারে। রাজা বলছেন, “এই মুহূর্তে আমাদের সবার মন ভেঙে গিয়েছে। চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি, আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার কীভাবে ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নয়, গোটা দেশেরই ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। এখান থেকে আমরা কোথায় যাব? সমস্যা কাটিয়ে ওঠার উপায়ই বা কী?’’ কিছুই জানা নেই এই মুহূর্তে।

আইসিসি তিন মাসের মধ্যে নয়া বোর্ডের পরিকাঠামো তৈরি করার একটা সুযোগ দিয়েছে জিম্বাবোয়েকে। আগামী অক্টোবরের বোর্ড মিটিংয়ে জিম্বাবোয়ে নিয়ে ফের সিদ্ধান্ত নেবে আইসিসি। রাজা বলেন “আমরা জানি না এর থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী!কতদিনের জন্য আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। যদি দু’ বছরের জন্য আমাদের নির্বাসিতও করা হয়, তাহলে অনেকেরই ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটকে যেন স্তব্ধ করে দেওয়ার একটা চেষ্টা করা হল।’’ রাজা মনে করছেন, এই নির্বাসনের ফলে জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটাররা প্রিয় খেলা ক্রিকেট ছেড়ে অন্য ভাবে কেরিয়ার গড়ার চেষ্টা করবেন। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার এক সিদ্ধান্তেই জিম্বাবোয়ে ক্রিকেটে অস্থির অবস্থা তৈরি হয়ে গেল। এর থেকে নিষ্কৃতির উপায় জানা নেই কারোর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন