যুদ্ধ থেকে সরছেন না ভারত অধিনায়ক। মঙ্গলবার ম্যাঞ্চেস্টারে। ছবি: রয়টার্স
সিরিজের প্রথম টেস্টে যে নাটক শুরু হয়েছিল, চতুর্থ টেস্টের ৪৮ ঘণ্টা আগেও তার কোনও শেষ দেখা যাচ্ছে না। বরং জিমি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ভারতীয় বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যে রণং দেহি নীতি নিয়েছে, তাতে উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়ছে।
এ দিন ভারতীয় বোর্ডের তরফে আইসিসি-র কাছে এক বিশেষ চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার সারমর্ম, অ্যান্ডারসন যে জাডেজাকে ধাক্কা মেরেছেন, তা তিনি স্বীকার করেছেন। তা হলে কেন তাঁর শাস্তি হবে না? ভারতীয় বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ভারতীয় বোর্ড রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারে না। শুধু আইসিসি পারে। আমরা তাই আইসিসি সিইও ডেভিড রিচার্ডসনকে অনুরোধ করেছি এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে। আমরা মনে করছি, অ্যান্ডারসনকে নির্দোষ ঘোষণা করাটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” রিচার্ডসনের কাছে এখন সাত দিন সময় আছে আবেদন করার জন্য। আইসিসি এখন রায় খুঁটিয়ে দেখছে।
হঠাৎ করে অ্যান্ডারসন মামলা নিয়ে কেন এত একগুঁয়ে মনোভাব দেখাচ্ছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট? প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অ্যান্ডারসন সে দিন শুধু জাডেজাকেই গালাগাল করেননি, ধোনিকেও অত্যন্ত জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। ধোনি নাকি তাঁকে সতর্ক করে দেন ভারতীয় ড্রেসিংরুমের কাছে না আসতে। এর পরই অ্যান্ডারসন গালাগাল করতে থাকেন ভারত অধিনায়ককে। সব মিলিয়ে প্রচণ্ড চটে যায় টিম। এও শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় টিমের ম্যানেজার সুনীল দেবের কাছে ‘শান্তি প্রস্তাব’ পাঠিয়েছিল ইসিবি। কিন্তু ধোনি সে প্রস্তাবও উড়িয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের এক জন বলেছেন, “আইসিসি কী বার্তা পাঠাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের কাছে? যে, যা খুশি করা যায়, কাউকে ধাক্কা মারা যায়, গালাগাল দেওয়া যায়। আর সব কিছু করেও আপনি পার পেয়ে যেতে পারেন।” উল্টো দিকে, ইংল্যান্ড শিবির আর এই বিতর্ক টেনে নিয়ে যেতে চাইছে না। ইয়ান বেল যেমন এ দিন সাংবাদিকদের বলেন, “একটা ঘটনা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আমাদের উচিত এ রকম একটা উত্তেজক সিরিজের উপর ফোকাস ঠিক রাখা। একটা ঘটনা ছাড়া এই সিরিজে কিন্তু কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”