সাউথ ক্লাবের শীর্ষপদে ফের টেনিস তারকা

অত্যাধুনিক জিম আর ডেভিস কাপ লক্ষ্য পিপার্নোর

দেশের সবচেয়ে পুরনো টেনিস ক্লাবের সর্বোচ্চ পদে আবার এক জন নিখাদ টেনিস প্লেয়ার আসীন হলেন। সাউথ ক্লাবের নির্বাচনে আই এন চতুর্বেদীকে সাত ভোটে (৫৩-৪৬) হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেন এনরিকো পিপার্নো। ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের প্রাক্তন সদস্য, জাতীয় মহিলা টেনিস দলের (ফেড কাপে) কোচ, এশিয়াডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা পিপার্নোর সাউথ ক্লাব প্রশাসনে অবশ্য সহকারী হতে পারেননি শহরের প্রাক্তন নামী টেনিস প্লেয়ার অজিত লাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১০
Share:

দেশের সবচেয়ে পুরনো টেনিস ক্লাবের সর্বোচ্চ পদে আবার এক জন নিখাদ টেনিস প্লেয়ার আসীন হলেন। সাউথ ক্লাবের নির্বাচনে আই এন চতুর্বেদীকে সাত ভোটে (৫৩-৪৬) হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেন এনরিকো পিপার্নো।

Advertisement

ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের প্রাক্তন সদস্য, জাতীয় মহিলা টেনিস দলের (ফেড কাপে) কোচ, এশিয়াডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা পিপার্নোর সাউথ ক্লাব প্রশাসনে অবশ্য সহকারী হতে পারেননি শহরের প্রাক্তন নামী টেনিস প্লেয়ার অজিত লাল। ভারতের বিখ্যাত ডেভিসকাপার প্রেমজিৎ লালের ভাই ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে বি এন ধ্রুপারের কাছে ৪০-৬১ ভোটে হেরে গিয়েছেন।

এ ছাড়া সাউথ ক্লাবের ২০১৪-১৫ মরসুমে বাকি সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন; রাহুল চৌধুরী (সচিব), তরুণ মিত্র (সহ-সচিব), সতীনাথ বসু (কোষাধ্যক্ষ) এবং কার্যকরী কমিটিতে সত্যজিৎ বর্মন, কমল মালু, রাজীব ভাটিয়া, হীরালাল ভাণ্ডারি, আশিস সেন। ষষ্ঠ জনকে মনোনীত করবেন প্রেসিডেন্ট পিপার্নো স্বয়ং। কারণ, কার্যকরী কমিটির ষষ্ঠ সদস্য যিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি টেকনিক্যাল কারণে আটকে গিয়েছেন।

Advertisement

সাউথ ক্লাব সূত্রের খবর, এই ক্লাবের নির্বাচনে যে কোনও পদের জন্য মনোনয়নের সঙ্গে এক লাখ টাকা জমা রাখতে হয়। নির্বাচনে জিতলে কিংবা মোট বৈধ ভোটের পঁচিশ শতাংশ পেলেও সেই টাকা নির্বাচনোত্তর ফেরত পাওয়া যায়। শোনা যাচ্ছে, কার্যকরী কমিটিতে ওই ব্যক্তি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ায় নাকি ধরে নিয়েছিলেন, টাকাটা তো ফেরতযোগ্যই, অতএব ব্যাঙ্কে জমা না রাখলেও চলবে। কিন্তু সেটা যে ভাবেই হোক নির্বাচনের দিন জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়।

সদ্য নির্বাচিত ক্লাব প্রেসিডেন্ট আরও একটি প্রশ্নের সম্মুখীন অফিসে বসার প্রথম দিনই হচ্ছেন। সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রজত মজুমদার বর্তমানে সিবিআইয়ের হেফাজতে হাজতবাস করায় সাউথ ক্লাবে তাঁর ভবিষ্যৎ কী? পিপার্নো সাফ বললেন, “মামলার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর এই ক্লাবে সাধারণ সদস্যপদ থাকবে। কিন্তু যদি আদালতের রায় অপরাধী প্রমাণিত হন, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে সাউথ ক্লাবে ওঁর মেম্বারশিপ খারিজ হয়ে যাবে, আমাদের ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই।”

পিপার্নো জানাচ্ছেন, সাউথ ক্লাবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানের টেনিসের উপযোগী অত্যাধুনিক জিমন্যাসিয়াম, ক্লাবের নতুন বাড়ি আর একটি পূর্ণাঙ্গ রেস্তোরাঁ তৈরি করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। “যেগুলোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও আগের কমিটি একটাও রাখেনি,” বললেন পিপার্নো। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই পিপার্নো ভারতের ডেভিস কাপ দলের নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজের সঙ্গে কথা বলেছেন। “আনন্দ সাউথ ক্লাবে ওর দল নিয়ে ডেভিস কাপ খেলতে ভীষণ আগ্রহী। ভারতের পরের হোম ম্যাচ সাউথ ক্লাবে করার তাই আপ্রাণ চেষ্টা করব। সোমদেবদের পছন্দের সিন্থেটিক কোর্ট এখানেও আছে।” তা ছাড়া সাউথ ক্লাবের বর্তমান টেনিস কোচিং স্টাফেরও মানোন্নয়ন ঘটানোর নানা পরিকল্পনা আছে নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের।

সাউথ ক্লাবের অন্দরমহলের কারও কারও ধারণা, পিপার্নো পারবেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, নির্বাচনে পিপার্নোর লড়াকু জয়ের পিছনে যেমন জয়দীপ গোষ্ঠী অনেকটাই নির্ণায়ক হয়ে উঠেছিল, তেমনই এ বার তাঁর কাজকর্মের পিছনেও ওই গোষ্ঠী বাড়তি শক্তি হয়ে উঠতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন