অধরা স্বপ্ন পূরণে শহরে জিকোর দল

আইএসএল-টু’তে সবচেয়ে বেশি গোল তাদের দলের। ২০। লিগ টেবলেও অন্য সব দলের আগে তারাই। কিন্তু এখনও আইএসএলে আটলেটিকো দে কলকাতা-কে হারাতে পারেনি জিকোর এফসি গোয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:২০
Share:

গোয়া নিয়ে গভীর আলোচনা? এটিকে প্র্যাকটিসে আগের ম্যাচের দুই নায়ক দ্যুতি ও হিউম। ছবি: উৎপল সরকার।

আইএসএল-টু’তে সবচেয়ে বেশি গোল তাদের দলের। ২০। লিগ টেবলেও অন্য সব দলের আগে তারাই।

Advertisement

কিন্তু এখনও আইএসএলে আটলেটিকো দে কলকাতা-কে হারাতে পারেনি জিকোর এফসি গোয়া।

সেই অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে শুক্রবার বিকেলে শহরে ঢুকে পড়ল জিকোর দল। আগের ম্যাচেই মুম্বইকে সাত গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। জোড়া হ্যাটট্রিক সমেত। তা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের টগবগে ছবিটা যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি গোয়া শিবিরে! দলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাটন লুকার কথাতেও সেটা ধরা পড়ছে। প্রাক্তন রোমা ফুটবলার এ দিন বললেন, ‘‘এখনও চারটে ম্যাচ বাকি। আর তার প্রতিটাই আমাদের কাছে ফাইনাল। মুম্বই ম্যাচ সাত গোলে জেতা নিয়ে আত্মতুষ্টির সময় নয় এটা আমাদের।’’

Advertisement

সেই ম্যাচে দু’টো হ্যাটট্রিক করেছেন ডুডু আর হাওকিপ। আইএসএলের রেকর্ড। কিন্তু জিকোর মতো মহাতারকাও সেই জোয়ারে গা না ভাসিয়ে আপাতত অঙ্ক কষছেন, কলকাতা-বধ নিয়ে। দু’মরসুমেও যে ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি হারাতে পারেননি আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে।

আর ঠিক এখানেই রবিবারের ম্যাচের মোটিভেশন খুঁজে পাচ্ছেন এটিকের স্প্যানিশ কোচ। চেন্নাইয়ানকে আগের ম্যাচে গড়বড়ে যুবভারতীর সারফেসে হারানোর পর এ দিন অনুশীলনে হাবাস তাঁর ফুটবলারদের বলে দিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোয়া ম্যাচ আমরা হারিনি। কাজেই চাপটা ওদেরই। আমাদের শুধু নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে হবে। কোনও চাপ না নিয়ে।

এ বারের আইএসএলে অন্য সব অ্যাওয়ে দলের মতো যুবভারতীর নতুন ঘাসের ‘বিভীষিকা’ টের পেতে চলেছে এফসি গোয়া দলও। কিন্তু তাদের নতুন নায়ক ডুডু এই মাঠেই সম্প্রতি কলকাতা লিগের ডার্বি খেলে যাওয়ায় তাঁর কাছ থেকে যুবভারতীর ‘বিভীষিকা’ সংক্রান্ত তথ্য নিচ্ছেন লুসিও-মউরারা। সেটা একটা ‘প্লাস’ গোয়ার কাছে। তা সত্ত্বেও হাবাসের টিমের কানাডিয়ান গোল-ইঞ্জিন ইয়ান হিউম চোখ টিপে বললেন, ‘‘কৃত্রিম সারফেস তুলে স্বাভাবিক ঘাসে ফিরলে সেই মাঠে খেলতে যে একটু অসুবিধে হবে তা সবাই জানে। তবু হোম ম্যাচ তো! সুবিধে আমাদেরই। আমরা তা-ও এখানে কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি। বিপক্ষ তো সেটাও নয়!’’

তবু রবিবার সন্ধেয় যুবভারতীতে দু’দলের দুই ত্রিশূলের যুদ্ধ দেখা যেতে পারে। গোয়ার উইং-প্লে আটকাতে হাবাসের দলে যদি হিউম-গ্যাভিলান- দ্যুতি ত্রিশূল হয়, তা হলে জিকোর টিম কলকাতায় এসেছে পাল্টা ত্রিশূল নিয়ে। সেই ত্রিশূলের দুই ফণা যদি কলকাতা ফেরত জোফ্রে এবং জোনাটন লুকা হয়ে থাকেন, তা হলে অন্যটা অবশ্যই লিও মউরা। এ বারের আইএসএলে যিনি সতীর্থদের জন্য পাসের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন। পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত দশ ম্যাচে পাঁচশো পাস বেরিয়েছে এই ব্রাজিলিয়ানের পা থেকে। গোয়ার কুড়িটা গোলের পাঁচটার ফাইনাল পাস মউরার।

রাউন্ড রবিন লিগের শেষের দিকে পৌঁছে আইএসএল এখন জমজমাট। প্রথম পাঁচ দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র তিন পয়েন্টের। আগের ম্যাচ জিতেও তাই হিউম বলছেন, ‘‘আমরা কিন্তু এখনও শেষ চারে যাইনি।’’ মার্কি পস্টিগা রবিবারের ম্যাচের দলেও খুব সম্ভবত থাকছেন না। তবু এ দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। হাবাসের ডিফেন্সিভ থার্ডকে মজবুত করতে অবশ্য ফিরে এসেছেন নাতো।

জিতে লড়াইয়ে থাকল নর্থ ইস্ট

সংবাদ সংস্থা • গুয়াহাটি

সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকল নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। শুক্রবার আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসিকে ২-০ হারাল সিজার ফারিয়াসের দল। প্রথমার্ধের শেষের দিকে পেনাল্টিতে গোল করেন ব্রুনো হেরেরো। ম্যাচ শেষের ঠিক আগে কামারার গোলে জয় নিশ্চিত করে নর্থইস্ট। জয়ের সৌজন্যে লিগ টেবলে চার নম্বরে উঠে আসল নর্থ ইস্ট। যারা এখন আটলেটিকো দে কলকাতার থেকে এক পয়েন্ট নীচে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন