অস্ট্রেলিয়ার চ্যালেঞ্জ সামলানোর ২৪ ঘণ্টা আগেই ফর্মে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর নতুন বোলিং অ্যাকশন থেকে টিমের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আগ্রাসী মেজাজে পাওয়া গেল ‘টিম ইন্ডিয়া’র অফস্পিনারকে।
চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অশ্বিনকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুনীল নারিনের মতো ফুলহাতা জার্সি পরে প্রায় একই অ্যাকশনে বল করতে দেখা যাচ্ছে। সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গ তোলায় তামিলনাড়ুর স্পিনার বলেন, “নিজের বোলিংয়ে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করছি। তাই এমন অ্যাকশন। এর আগে কখনও ফুলহাতা জার্সিতে বল করিনি। এ বার দেখছিলাম ব্যাপারটা কেমন লাগে।” সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “আমি দেখতে চাইছিলাম যথা সম্ভব কনুই ব্যবহার করে বলের ঘূর্ণি বাড়ানো যায় কি না। এতে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। অন্যরা যদি একই ভাবে সুযোগ নিতে পারে আমিই বা পিছিয়ে থাকব কেন?”
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির টিমের টস জিতে প্রথমে বল করার স্ট্র্যাটেজিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে ব্যাট করবেন কি না প্রশ্নেও সোজা ব্যাটে জবাব অশ্বিনের। “সুনামির বিরুদ্ধে সাঁতার কাটতে চাই না। পরিবেশ আর পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই না। যদি আমরা টসে জিতি প্রয়োজন পড়লে আমরা আবার প্রথমে বলই করব।”
টিমের ডেথ বোলিং নিয়ে চিন্তার কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন ধোনি। এ ব্যাপারে ভারতীয় শিবির যে খুব একটা চিন্তিত অশ্বিনের কথায় তা মনে হবে না। “আমাদের ডেথ বোলিংয়ের পরিসংখ্যান দেখিনি। তবে সেটা ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ’ এর কাছাকাছি। এমন নয় যে ভারত আর পাকিস্তানের থেকে ডেথ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া কম রান দিচ্ছে। হয়তো পাকিস্তান তুলনায় একটু এগিয়ে থাকবে এই ব্যাপারে। তবে সব মিলিয়ে যদি দেখেন ওরাও গড়ে ৯ রান প্রতি ওভারে দিয়েছে।” সঙ্গে অশ্বিন আরও যোগ করেন, “বাকি দলগুলো কী করছে আর আমরা কি করছি সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাপারটা দেখতে হবে। সে দিক থেকে আমাদের পারফরম্যান্স কিন্তু খারাপ নয়।”
পাশাপাশি চলতি টুর্নামেন্টে অমিত মিশ্রের দুরন্ত পারফরম্যান্স নিয়ে অশ্বিন বলেন, “জুটি হিসেবে প্রত্যেক বোলিং ইউনিটই একে অপরের সাফল্যে লাভ পায়। অমিত এই টুর্নামেন্টে আমাদের অন্যতম শক্তি। আমরা ওকে এমন একটা সময়ে ব্যবহার করছি যখন ব্যাটসম্যানকে আক্রমণাত্মক খেলতেই হবে। অমিত কিন্তু খুব গতিতে বল করে না তাই ওর বোলিংয়ে আউট হওয়ার সুযোগ থাকে বেশি।”