ফের আদালতে বোর্ড প্রেসিডেন্টের আসন ফেরানোর আবেদন জানালেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। সিএসকে ও ক্রিকেটারদের আচরণবিধি রক্ষার স্বপক্ষে আদালতের কাছে পাল্টা যুক্তি পেশ করল বোর্ড। মুদগল কমিটির রিপোর্টে তাঁর ব্যাপারে আপাত ভাবে সুর নরম করা হয়েছে দেখেই পাল্টা আইনি লড়াই শুরু করে দিলেন শ্রীনির আইনজীবীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। তার তিন দিন আগে বোর্ডের মসনদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন তো করলেনই শ্রীনি। তার সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসকে আইপিএল থেকে বের না করার আর্জিও জানিয়ে রাখলেন। বোর্ড আদালতকে জানিয়ে রাখল যে, রিপোর্টে অভিযুক্ত ক্রিকেটারকে আচরণবিধি ভাঙার অপরাধে ছাড় দেওয়া হয়নি। তাকে ভর্ত্সনা ও সতর্ক করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে পেশ করা হলফনামায় শ্রীনির বক্তব্য, “তদন্ত শেষ। তাতে আমার বিরুদ্ধে অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণও নেই। তাই আমাকে বোর্ড প্রেসিডেন্টের আসনে বসার অনুমতি দেওয়া হোক।” ও দিকে আবার সিএসকের মালিক ইন্ডিয়া সিমেন্টসের পক্ষে আলাদা হলফনামায় বলা হয়েছে, “গুরুনাথ মইয়াপ্পন সম্পর্কে রিপোর্টে যা আছে, তার বাইরে সিএসকে বা ইন্ডিয়া সিমেন্টসের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।” তাদের যুক্তি, “গুরুনাথ ইন্ডিয়া সিমেন্টসের মালিকানার অংশীদার, কর্তা বা কর্মী পদেই নেই। তিনি ইন্ডিয়া সিমেন্টস বা সিএসকের কাছ থেকে কোনও বেতন, সাম্মানিক বা ক্ষতিপূরণ নেননি। কেন তাঁকে সিএসকের টিম অফিশিয়াল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, তদন্ত রিপোর্টে তার ব্যাখ্যাও নেই।” এই যুক্তিতেই আদালতের কাছে আর্জি জানানো হল সিএসকে-কে আইপিএল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত যেন না নেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য, সিএসকে-র মতো জনপ্রিয় টিমকে বাদ দিলে পরোক্ষে আইপিএলের ক্ষতি হবে।
এক ক্রিকেটারের আচরণবিধি ভঙ্গকে মদত দিয়েছিলেন শ্রীনি, এই অভিযোগও মানতে নারাজ বোর্ড। তদন্ত রিপোর্টে যে ক্রিকেটারের (ব্যক্তি ৩) আচরণবিধি ভাঙা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তাঁর আচরণের কথা উল্লেখ করে বোর্ডের পাল্টা যুক্তি, “সে সময় ভারতীয় দলের ম্যানেজার রঞ্জীব বিসওয়াল জানিয়েছেন, ঘটনাটি তেমন গুরুতর নয়। সে জন্য সেই ক্রিকেটারকে মৌখিক ভাবে ভর্ত্সনাও করা হয়েছিল।” বোর্ডের দাবি, “ওই ক্রিকেটারের আত্মপক্ষ সমর্থনে দেওয়া যুক্তিতে সন্তুষ্টও হয়েছিলেন তত্কালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর।” এবং আইপিএল, ম্যাচ ফিক্সিং বা বেটিংয়ের সঙ্গেও এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করা হয়েছে।