মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা বলছেন, “অবনমন নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভাল খেলতে হবে। তা হলেই লিগ টেবলে ওপরের দিকে শেষ করতে পারব।”
মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন আশাবাদী, “আরে অনেক ম্যাচ আছে এখনও। রাংদাজিদ হঠাৎ-ই বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে দেওয়ায় লিগ টেবলের নীচের দিকের পয়েন্টের সামান্য হেরফের হয়েছে। নামবে তো একটা টিম। জিতে আমরা ভাল জায়গায় থাকবই।”
ইউনাইটেড টিডি সুব্রত ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “একটা টিম নামবে। আমরা তো কুড়ি পয়েন্ট পেয়েছি। সবাই মিলে চেষ্টা করছে। হয়ে যাবে। সমস্যা হবে না। অঙ্কটা আমি জানি।”
দু’টি দল নয়, এ বারের আই লিগ থেকে একটি মাত্র দল নামবে। উঠবেও একটি। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে বলে দিলেন, “আমাদের কার্যকরী কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে একটা দল নামবে। আর আই লিগ টু থেকে একটি দল উঠবে।” কিন্তু পরের বার আই লিগ কত দলের হবে তা বলতে পারেননি তিনি। বলে দিলেন, “মে মাসের আগে এটা বলা সম্ভব নয়।” দুটি কারণ দেখাচ্ছেন তিনি। এক) এ এফ সি-র নির্দেশিকা ক’টা ক্লাব পূরণ করছে সেটা দেখতে হবে। দুই) বেঙ্গালুরুর পরিকাঠামো দেখে উচ্ছ্বসিত ফেডারেশন আরও দু’তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টিম নিতে চাইছে। এর জন্য এপ্রিলের শুরুতে দরপত্র ছাড়া হবে। দক্ষিণের চেন্নাই বা কোচি এবং দিল্লির কোনও ক্লাব নিতে চান তারা।
পরের বার লিগে কত দল হবে তা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ ক্লাবগুলো। তাদের এখন বাঁচার লড়াই। কিন্তু ‘একটি দলই নামবে’ সরকারিভাবে এটা জানার পর অবনমনের আওতায় থাকা কলকাতার তিন আই লিগ খেলা ক্লাবের সারথিরা যথেষ্ট স্বস্তিতে। তাদের সবারই ধারণা, অবনমনে পড়বেন না। বাংলার তিন দলের সঙ্গে নেমে যাওয়ার লড়াইতে আছে র্যান্টি মার্টিন্সের রাংদাজিদ, সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল ব্রাদার্স এবং খালিদ জামিলের মুম্বই এফ সি। প্রত্যেকেরই অবশ্য ছয়-সাতটি করে ম্যাচ বাকি এখনও। কিন্তু যুদ্ধটা যে-হেতু এক ক্লাবের অবনমনে পড়ার তাই সেটা আরও জটিল। রাংদাজিদ শেষ ম্যাচ জিতে তা আরও ওলট-পালট করে দিয়েছে।
যেমন চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়েও ক্রমশ জটিল হচ্ছে লড়াই। গত এক সপ্তাহে লিগর প্রথম তিনে থাকা বেঙ্গালুরু, স্পের্টিং ক্লুব, পুণে এফ সি পয়েন্ট নষ্ট করায় খেতাবের লড়াইতে ঢোকার ক্ষীণ আশা দেখা দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলে। আশার কারণ আর্মান্দো কোলাসোর দল বেঙ্গালুরু বা পুণে এফ সি-র তুলনায় তিনটি ম্যাচ কম খেলেছে। স্পোর্টিংয়ের তুলনায় খেলেছে দু’টি কম ম্যাচ। কিন্তু লাল-হলুদের ম্যাচ এখনও বাকি স্পোর্টিং, পুণে, শিলং লাজং, মহমেডান-এর (দু’বার) মতো দলগুলির সঙ্গে। ফলে খেতাবের যুদ্ধে এগোনো প্রায় অসম্ভব।
ফেডারেশন আই লিগ টু থেকে একটি দল উঠবে ঘোষণা করায় মূলপর্বে ওঠা ভবানীপুর, কালীঘাটএমএস, ইউনাইটেড সিকিম-সহ ছ’টি দলের মধ্যে লড়াই তুঙ্গে উঠবে। আই লিগ টু-এর মূলপর্ব হবে শিলচর (২৩-৩১ মার্চ) এবং আইজল (৩-১২ এপ্রিল)। দেখার সেই লড়াইতে কলকাতার দু’টি দলের কেউ সফল হয় কি না।