আনন্দকে হারাতে যোগব্যায়ামের সাহায্য নিয়ে প্রস্তুতি কার্লসেনের

এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ার প্রশ্ন নেই! প্রাক মহাযুদ্ধ পর্বে মানসিক চাপে রাখার লড়াইয়ে দু’জনেই সমান তত্‌পর। দাবা বিশেষজ্ঞরা তাই ম্যাগনাস কালর্সেন আর বিশ্বনাথন আনন্দের বিশ্বদাবার খেতাবি লড়াই গত বারের তুলনায় রক্তক্ষয়ী হবে তার পূর্বাভাস আগাম দিয়ে রেখেছেন। শুধু চাপে রাখার কৌশলই নয়, তার সঙ্গে দুই শিবিরেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কার্লসেন আর তাঁর পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৪ ০২:১৫
Share:

এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ার প্রশ্ন নেই! প্রাক মহাযুদ্ধ পর্বে মানসিক চাপে রাখার লড়াইয়ে দু’জনেই সমান তত্‌পর। দাবা বিশেষজ্ঞরা তাই ম্যাগনাস কালর্সেন আর বিশ্বনাথন আনন্দের বিশ্বদাবার খেতাবি লড়াই গত বারের তুলনায় রক্তক্ষয়ী হবে তার পূর্বাভাস আগাম দিয়ে রেখেছেন। শুধু চাপে রাখার কৌশলই নয়, তার সঙ্গে দুই শিবিরেই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কিন্তু কী ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কার্লসেন আর তাঁর পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চ্যালেঞ্জার?

Advertisement

আনন্দ সোমবার থেকেই পরপর টুইটে দাবা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কতটা ফুরফুরে আছেন। মঙ্গলবারও ভিশি টুইট করেন, “লম্বা সময়ের জন্য হাঁটছি, বন্যপ্রাণী নিয়ে তথ্যচিত্র দেখছি, এখানকার পরিবেশ রৌদ্রজ্জ্বল হলেও কাঁপানো ঠাণ্ডাটা রয়েছেই।” এর পরই ফের তাঁর টুইট, “ম্যাচের আগে আমি একটা রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রাতঃরাশ, কাজ, হাল্কা মধ্যাহ্নভোজন, কাজ, হাঁটাহাঁটি...জিম, কাজ, হাল্কা হাসি-ঠাট্টা, কাজ, বই পড়া, ঘুম (তার মধ্যেও আমার একটা অংশ কাজ করে চলেছে, অরুণাকে (স্ত্রী) বললাম কাল মন্ত্রীর ব্যাপারটা মনে করিয়ে দিতে।” কিছুক্ষণ পরের টুইট, “ভোর হয়ে গিয়েছে আমার মাথায় এখন মন্ত্রীর ব্যাপারটা ঘুরছে...।” ফুরফুরে হলেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কতটা মগ্ন আনন্দ তাঁর টুইটেই পরিষ্কার ইঙ্গিত।

আর কার্লসেন? রহস্যটা ফাঁস করেছেন তাঁর ম্যানেজার এসপেন অগডেস্টেইন। মঙ্গলবারই সোচিতে পৌঁছন কার্লসেন। তার পর নরওয়ের মিডিয়াকে এসপেন বলেছেন, “একটা নতুন ব্যাপার ও শুরু করেছে। চাপ কমাতে আর ওর এনার্জি লেভেল আরও বাড়াতে যোগব্যায়াম করছে।” এমনিতেই কার্লসেন ফিটনেস নিয়ে খুঁতখুঁতে। সময় থাকলে ফুটবলও খেলেন। এমনকী টুর্নামেন্টের সময়ও ফাঁক পেলে শরীরচর্চায় নেমে পড়েন। গত বছরও বিশ্বখেতাবের চ্যালেঞ্জের মধ্যে বাস্কেটবলে ডুবে ছিলেন। সে সবের থেকে অনেক নিশ্চিন্তে শরীরচর্চার উপায় তাঁর কাছে এখন যোগব্যায়াম। কার্লসেনের দেশজ মিডিয়াকে এমনটাই বলছেন তাঁর ম্যানেজার। পাশাপাশি তাঁর কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত যতই মুখে বলুন না কেন কিছুটা হলেও চাপে রয়েছেন ম্যাগনাস। “সোচিতে পৌঁছে ভাল লাগছে। কেন না এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য অপেক্ষা করাটা একটু চাপের। একই সঙ্গে ক্লান্তিকরও। আমার মনে হয় অবশেষে লড়াইয়ের সময়টা আসায় ম্যাগনাস এখন বেশ খুশি।”

Advertisement

এমনিতেই সোচিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি থাকায় প্রথমে রাজি ছিলেন না কার্লসেন। যার প্রথম কারণ নাকি রাজনৈতিক অশান্তিতে থাকা ইউক্রেনের কাছেই রাশিয়ার এই শহরের অবস্থান হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর অস্বস্তি। তাই অনেক ভেবে চিন্তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামার চুক্তিপত্রে সই করেন তিনি।

দিন কয়েক আগেই নরওয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বলেছিলেন, “খেতাবি যুদ্ধে আমি যে মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকব কোনও সন্দেহ নেই।” যার জবাবে আনন্দ নাকি বলেছেন, “আমি এ সব মানসিক চাপে রাখার লড়াইয়ে বিশ্বাস করি না।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন খবরই ঘোরাফেরা করছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement