মাঠ যখন রণক্ষেত্র। লিল বনাম মাক্কাবি হাইফার ম্যাচে।
মাঠ হয়ে উঠল যুদ্ধক্ষেত্র। গাজা বিবাদের রেশ ছড়িয়ে পড়ল ফুটবল মাঠেও। লিলের সঙ্গে ইজরায়েলের ক্লাব মাক্কাবি হাইফার প্রাক্ মরসুম ম্যাচ শিরোনামে উঠে এল ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইন সংঘর্ষের জন্যই। ঘটনাটা কী? ঘরের মাঠে লিল যখন ম্যাচ ২-০ জিতছিল, ৮৬ মিনিটের মাথায় ক্লাবের প্যালেস্তাইন পন্থী সমর্থকরা হঠাৎই মাঠে নেমে মাক্কাইবা ফুটবলারদের উপর লাথি ঘুষি চালাতে থাকে। ম্যাচ চলাকালীন তুরস্ক বংশোদ্ভূত সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকে— ‘স্বাধীন প্যালেস্তাইন চাই। অত্যাচার বন্ধ কর ইজরায়েল।’ আবার অনেকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেয়- “ফ্রি প্যালেস্তাইন।” কিন্তু ম্যাচের শেষের দিকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের তোয়াক্কা না করে মাঠেই মাক্কাবি ফুটবলারদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেন লিলের ফুটবলাররা। কেউ লাথি, কেউ ঘুষি চালান ফুটবলারদের। অনেকে আহত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন। আতঙ্কে লিলে ফুটবলাররা লকার রুমের দিকে দৌড়াতে থাকেন। জবাবে আবার কোনও কোনও মাক্কাবি ফুটবলার পাল্টা লাথি চালান। লড়াইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন কোচ আলেকসান্ডার স্ট্যানোজেভিচও। যিনি নিজেও ঘুষি মারেন বিপক্ষ সমর্থককে। গত মাসে এমনিতেই উয়েফা জানিয়ে দিয়েছিল নিরাপত্তার কারণে কোনও ইজরায়েলি ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ অনুষ্ঠিত করতে পারবে না। এ বার এই বিতর্ক ফুটবলে রাজনীতির রং এনে দিল। জঙ্গি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর আবার মাক্কাবির তারকা ফুটবলার ইয়সি বেনাইউন বলেন, ঘুষির জবাবে ঘুষি মেরে কোনও ভুল করেননি তাঁরা। “ফুটবল ক্লাব হিসাবে কোনও হিংসাত্মক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করি আমরা। গতকাল ম্যাচের শেষের দিকে আমাদের আক্রমণ করা হয়। হাতাহাতি করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না আর।” প্রাক্তন লিভারপুল ও চেলসি তারকা আরও যোগ করেন, “আমরা যারা সিনিয়র ফুটবলার আছি তাদের দায়িত্ব জুনিয়রদের রক্ষা করা। দল হওয়ার কারণে একে অপরকে সাহায্য করি প্রতি ব্যাপারেই। চাইব সমর্থকরা আমাদের যেন ভুল না বোঝে।”