বিশ্বকাপার বার্তোস
র্যান্টি মার্টিন্স মাঠে নেমে পড়েছেন। জুভেন্তাসে খেলা ২৬ বছরের ব্রাজিলিয়ান স্টপার সিসেরো মার্কোস সিলভা-র আসার কথা সামনের সপ্তাহে। এই দুই বিদেশি নিয়ে কলকাতা লিগে খেলতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু লাল-হলুদের আইকন ফুটবলার কে? তালিকায় চারটি নাম থাকলেও, এগিয়ে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপার লিও বার্তোস।
লিও অ্যাটাকিং মিডিও হিসেবে ২০১০ বিশ্বকাপে খেলেছেন। ৩২ বছর বয়সি লিও-র এজেন্টের সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। লিও যদি আসেন, তা হলে মজিদ বাসকর, এমেকা এজুগো, মুকান্সি-র পর তিনিই হবেন ইস্টবেঙ্গলে খেলা চতুর্থ বিশ্বকাপার।
লিওর পাশাপাশি আইকন হিসেবে আরও তিন জন ফুটবলারকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। হন্ডুরাসের মিডিও এডার ডেলগাদো, এবং ইংল্যান্ডের দুই স্ট্রাইকার মাইকেল এনজো এবং নাথান ইকলেস্টন। এডার ২০০৮ অলিম্পিকে খেলা ছাড়াও এ বার ব্রাজিল বিশ্বকাপে হন্ডুরাসের স্কোয়াডে ছিলেন। এনজো এবং ইকলেস্টন খেলেছেন যুব বিশ্বকাপে। দু’জনেই লিভারপুলের প্লেয়ার। আইকন ফুটবলার বাছার ক্ষেত্রে সব দিক দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন কোচ আর্মান্দো কোলাসো। তবে যাঁর সঙ্গে আগে কথাবার্তা পাকা হবে তাঁকেই আইকন ফুটবলার করা হবে। কর্তাদের ইচ্ছে আইকন ফুটবলার পাওয়া গেলে তাঁকেও কলকাতা লিগে খেলানো হোক। যাতে পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন নামী বিদেশি ফুটবলারটি।
দুই প্রধানেই কলকাতা লিগ খেলার জন্য প্রস্তুতি চলছে। ইস্টবেঙ্গল দুই টিমেই আপাতত এক জন করেই বিদেশি অনুশীলন করছেন। র্যান্টি মার্টিন্স এবং কাতসুমি। কাতসুমি ছাড়াও বিদেশি বোয়া এবং ফাতাইকে নিয়েছে মোহনবাগান। তাঁদের আশার কথা দিন সাতেকের মধ্যে। বাগানের চতুর্থ বিদেশি কে হবেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখছেন কর্তারা। শোনা যাচ্ছে, চমক থাকবে। হাওয়ায় ভাসছে সোনি নর্ডি এবং আক্রমের নাম। তবে চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
নেদারল্যান্ডস ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি দিল্লির: আইএসএলের জন্য আগেই কলকাতা চুক্তি করেছে আটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে। এ বার দিল্লির দল গাঁটছড়া বাঁধল নেদারল্যান্ডসের ক্লাব ফেইনুর্ডের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে নাম ঘোষণা হবে দিল্লির দলটির। সঙ্গে বিদেশি এবং আইকন ফুটবলারদেরও নাম ঘোষণা হওয়ার কথা। এর আগেই অবশ্য ডেনমার্কের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, দিল্লি দলে যোগ দেওয়া দু’জন ফুটবলারের নাম। ম্যাড ইউঙ্কার এবং মর্টেন স্কুবো--- দু’জনেই ডেনমার্কের জাতীয় দলে খেলেছেন। ৩৩ বছরের ইউঙ্কার খেলেন স্ট্রাইকারে। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন সাত ম্যাচ। আর ৩৪ বছরের স্কুবো সেন্টার ফরোয়ার্ডে খেলেন। ছয় বার জাতীয় দলের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।