রাঁচি বিমানবন্দরে সস্ত্রীক ভারত অধিনায়ক। শনিবার। ছবি: পিটিআই
দু’বছর আগের ভরাডুবির আতঙ্ক দেশে রেখে এ বার ইংল্যান্ড সফরে গেল ভারতীয় দল। প্রায় সাড়ে তিন মাসের সফরে বিলেত পাড়ি দেওয়ার আগে ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন ও কোচের কথায় তেমনই ইঙ্গিত। তাঁদের বক্তব্য, ইংল্যান্ডে এ বার গত বারের মতো বিপর্যয় নেমে আসার সম্ভাবনা কম।
রবিবার ভোরের বিমানে ইংল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সে বারের ভরাডুবির প্রসঙ্গ উঠতে ধোনি বলেন, “গত বার ৮-৯ জন চোট পাওয়া ক্রিকেটার নিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। একজন ফাস্ট বোলারকে (জাহির খান) পুরো সিরিজেই পাইনি। পরপর চোট হওয়ায় এমন কয়েকজন ক্রিকেটারকে খেলাতে বাধ্য হয়েছিলাম, যারা পরিবেশের সঙ্গে ঠিকমতো মানিয়ে উঠতে পারেনি।” কোচ ডানকান ফ্লেচার সামনের দিকে তাকাতে চান। বললেন, “এ বারের দলটার গড় বয়স গত বারের তুলনায় কম। তাই আমরা কোনও বাড়তি বোঝা নিয়ে ও দেশে যাচ্ছি না। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের ছেলেরা ভাল খেলেছে। তাই এই দলটা অনেক সম্ভাবনাময়।” এ বারের সফর নিয়ে ধোনি বলেন, “আগের বার বোলারদের চেয়ে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বেশি হতাশ করেছিল। ৫০-৫০ অবস্থা থেকে নিজেদের বের করে নিয়ে আসাটাই এ বার আমাদের আসল কাজ। গতবার যেটা পারিনি।” টেস্ট সিরিজ শুরুর প্রায় আড়াই সপ্তাহ আগে ইংল্যান্ডে পৌঁছনোয় ভারতীয় দলের উপকার হবে বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক। তাঁর মতে, “দলের কয়েক জনের এটাই প্রথম ইংল্যান্ড সফর। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডে ওরা যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। আমরা অনেক দিন আগেই ওখানে পৌঁছে যাচ্ছি। পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলাটা সোজা নয়। তাই প্রস্তুতির যথেষ্ট সময় পাওয়া দরকার ছিল।” প্রসঙ্গত, প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে, ট্রেন্ট ব্রিজে। তার আগে ভারত দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে যথাক্রমে লিস্টার ও ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ধোনি এ দিন জানিয়ে দেন, “আমি যখন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলি, তখনই ভাল খেলি। সে জন্যই ঠিক করেছি ইংল্যান্ডের মাঠেও নিজের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক খেলাই খেলব।”