বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা আমরা পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পারিনি। তবে নিউজিল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। সে দিন মাঠে ওরা একদম ঠিক সময়ে ঝুঁকিগুলো নিয়ে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলেছিল। যোগ্য দল হিসাবেই আমাদের হারিয়ে জিতেছিল ওরা। আর সেই জয়ের ক’দিন পরেই ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তিটা বাকিদের বেশ স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপে হার দিয়ে শুরু করলেও এই মুহূর্তে আমাদের সমস্ত ফোকাস দলটাকে জমাট করে তোলার দিকে। তার জন্য টিমের প্রত্যেকে প্রচুর খাটছে। আমাদের বেশ কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার সবে চোট সারিয়ে ফিরেছে। মাঠে ফেরার পর সেরা ফর্ম ছোঁওয়ার জন্য ওদের একটু সময় তো দিতেই হবে। বিশেষ করে দুই পেসার লাসিথ মালিঙ্গা আর সুরঙ্গ লাকমলের চোট বাকি দলের কাজটা সত্যিই কঠিন করে দিয়েছে। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজও সবে চোট সারিয়ে ফিরেছে। তবে মানতেই হবে, ফিল্ডিং এত খারাপ করার কোনও অজুহাত আমাদের নেই। আত্মসমালোচনাটা ঠিকঠাক করলে, নিউজিল্যান্ড ম্যাচে আমরা খুব হতাশাজনক ফিল্ডিং করেছি এবং এই একটা ব্যাপারে অবিলম্বে উন্নতি চাই।
রবিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচটায় আমরা ফেভারিটের তকমা নিয়ে নামছি ঠিকই কিন্তু মনে রাখতে হবে আফগানিস্তানও যোগ্যতার জোরেই বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে। ওদের বেশ কয়েক জন প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। টিমটার মধ্যে আবেগ বা প্রতিজ্ঞা, কোনওটারই কমতি নেই। তাই আফগানিস্তানকে হালকা ভাবে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। বিশ্বকাপে প্রথম সপ্তাহেই অঘটন ঘটিয়ে আয়ারল্যান্ড দেখিয়েছে, কোনও টিমকেই ছোট বলা যায় না।
রবিবারের অন্য ম্যাচে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইটা আবার জমে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। খাতায়-কলমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসম্ভব শক্তিশালী দেখাচ্ছে। এটুকু বলতে পারি, ওদের বিরুদ্ধে ধোনির ছেলেরা কিন্তু সত্যিকারের পরীক্ষার মুখে পড়বে! লড়াইয়ে শেষ হাসিটা কাদের হয় দেখা যাক। তবে ভারত যদি জিততে পারে, তা হলে দু’টো খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে তো চলে যাবেই। আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়েও শীর্ষে চলে যাবে! ভারতকে ধরা কঠিন হবে তখন।
অবশ্য কোন টিম কোথায় দাঁড়িয়ে এবং কারা এগোবে, এ সব নিয়ে এখনই ভবিষ্যদ্বাণী করতে যাওয়াটা বড্ড তাড়াহুড়ো করে ফেলা হবে। তবু নিউজিল্যান্ড এর মধ্যেই টুর্নামেন্টে বেশ জাঁকিয়ে বসেছে।