আইনানুগ কি না, সে প্রশ্ন থাকলেও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ফিনান্স কমিটির সভা ডেকে তাতে সভাপতিত্ব করলেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনই। এমনকী আইসিসি-র প্রথম চেয়ারম্যানের পদে বসার আগে তিনি এই মহাদেশের পূর্ণ সদস্যদের সমর্থনও সুনিশ্চিত করে নিলেন বলে খবর।
আদালতের নির্দেশে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের গদিতে আপাতত না থাকায় শ্রীনিবাসন এসিসি-র চেয়ারম্যান হিসেবে বৈঠক ডাকতে পারেন কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। আনন্দবাজারে আগেই প্রকাশিত হয়েছিল, এসিসি-র বৈঠক ডাকতে চলেছেন শ্রীনি। এ দিন এসিসি-র সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা আইনি জটিলতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। শুধুমাত্র বার্ষিক অডিটেড অ্যাকাউন্ট পাস করার জন্য চেন্নাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে এই বৈঠক ডেকেছিলেন বলে জানান বিসিসিআই সচিব সঞ্জয় পটেল। বৈঠকে থাকা পটেল এ দিন সন্ধ্যায় জানান, “বার্ষিক অডিটেড অ্যাকাউন্ট পাস হওয়া ছাড়া আর কোনও সিদ্ধান্ত এই বৈঠকে হয়নি।”
নাতিদীর্ঘ বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সচিব নিশান্ত রণতুঙ্গা। এই শ্রীলঙ্কাই বিশ্ব ক্রিকেটের প্রশাসনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে সায় দেয়নি। পরে তারা রাজি হয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই বৈঠকে অডিটেড অ্যাকাউন্ট পাস করার ছুতোয় আইসিসি-তে এশিয়ার পূর্ণ সদস্যদের সমর্থন সুনিশ্চিত করে নিলেন শ্রীনিবাসন। বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও কথা না বললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, শ্রীনিবাসনের আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে বসা নিয়ে এশিয়ার পূর্ণ সদস্য দেশের বোর্ডগুলি যে কোনও আপত্তি জানাবে না, এই বৈঠকে সেই প্রতিশ্রুতি পেয়ে অনেকটাই স্বস্তি পেলেন শ্রীনিবাসন।