চিমা ওকোরি সাংবাদিক নিগ্রহে জড়িয়েছিলেন। এক চিত্র-সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাঙার জেরে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এমেকা এজুগোকে। মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফাও অতীতে জড়িয়েছেন সাংবাদিক হেনস্থায়। এ বার সেই অভব্যতা করলেন ওডাফা ওকোলিও। সাংবাদিক হেনস্থায় জড়ালেন তিনিও।
মোহনবাগান অধিনায়কের ফর্ম যত পড়ছে পাল্লা দিয়ে ততই বাড়ছে তাঁর মেজাজ। শনিবার সকালে অনুশীলনের পর সহ খেলোয়াড় এবং একাধিক কর্মসমিতির সদস্যদের সামনেই এক ক্রীড়া সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন ওডাফা। তেড়ে গিয়ে তাঁকে ধাক্কাও মারেন। অশ্রাব্য গালাগালের সঙ্গে সংস্লিষ্ট সাংবাদিককে মেরে ফেলার হুমকিও দেন ওডাফা। গোটা ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সকালে মোহনবাগান প্র্যাকটিস কভার করতে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের অন্য প্রতিনিধিরাও। পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে বুঝতে পেরে শেষমেশ ‘উন্মত্ত’ ওডাফাকে সরিয়ে নিয়ে যান মাঠে উপস্থিত কর্তারা। ঘটনার পর অনুতপ্ত হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে চিৎকার করতে করতে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় বাগান অধিনায়ককে। পুরো ঘটনা জানানো হয় বাগানের বড় কর্তাদের। যদিও মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “ওডাফা এক সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলা করেছে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অতীতেও চার্চিল ব্রাদার্সে থাকার সময় এক বিমানসেবিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই ফুটবলার। মুম্বই বিমানবন্দরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। দু’বছর আগে ৯ ডিসেম্বর, আই লিগে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে রেফারি বিষ্ণু চ্বহাণকে তেড়ে গিয়েও বিপাকে ফেলেছিলেন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে। মোটা অঙ্কের জরিমানা দিয়ে সে যাত্রা রক্ষা পায় মোহনবাগান। ওডাফার বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল ফেডারেশন। এ বার তিনি জড়িয়ে পড়লেন সাংবাদিক নিগ্রহেও।