ছেলে আইজ্যাককে নিয়ে মাঠে এলেও, নিজের পুরনো ক্লাব চেলসিকে হারাতে পারলেন না দ্রোগবা। ছবি: এএফপি।
‘ঘরের মাঠে’ ফেরাটা সুখের হল না দিদিয়ের দ্রোগবার। চেলসির প্রাক্তন তারকা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে নেমেও বর্তমান দল গালাতাসারেকে জেতাতে পারলেন না চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। চেলসি ২-০ জিতল (দু’পর্ব মিলিয়ে ৩-১)। শেষ আটে ওঠা নিশ্চিত হতেই চেলসির কোচ হোসে মোরিনহো আবার বলে দিলেন, “বিশ্বের সেরা আট ক্লাবের মধ্যে আমরাও উঠে এসেছি। ক্লাব আর প্লেয়ারদের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্যায়ে সব বড় ক্লাব খেলবে। এর মধ্যে যে কোনও ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে আমরা কাউকে ভয় পাই না।” চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে মোরিনহো কখনও হারেননি। সে প্রসঙ্গে ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ বলে দেন, “অন্য টিম চেলসিকে ভয় পাবে কেন? আমি কখনও কোয়ার্টার ফাইনালে হারিনি বলে? এ ভাবে কখনও ভাবিনি।”
ম্যাচের আগে রুপোর বুট আর প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে মোরিনহো দ্রোগবাকে অভ্যর্থনা জানান। ভাবটা এমনই পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে ভুলেও গোল করার সাহস দেখিও না। দ্রোগবা সবিনয়ে সেই অনুরোধ প্রত্যাখান করার চেষ্টা কম করেননি। গতি, স্কিল আর বক্সে হঠাৎ বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মধ্যে। তার পুরনো চেনা স্টাইলের ঝলকে চেলসি সমর্থকরা পুরনো দ্রোগবাকে হয়তো কিছুটা খুঁজেও পেয়েছিলেন গোলের আশঙ্কার সঙ্গে। কিন্তু এই দ্রোগবা চেলসির দ্রোগবা নন। বয়স যে থাবা বসিয়েছে সেটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। ম্যাচের শুরুতেই এটো আর প্রধমার্ধের ঠিক আগে কাহিলের গোলের জবাব তাই আর দিতে পারেননি আইভরি কোস্টের ৩৬ বছর বয়সি মহাতারকা।
তবে ঘরের মাঠে সেরা পুরস্কারটা হয়তো ম্যাচ না জিতেও পেয়ে গিয়েছেন দ্রোগবা। মোরিনহো তাঁকে প্রায় ক্লাবে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবই দিয়ে দেওয়ায়। মোরিনহো বলেন, “প্লেয়ার, কোচ, অ্যাম্বাস্যাডর। আগামী বছর, চার-পাঁচ বা দশ বছর পর। আমি জানি না কবে। তবে আমার মনে হয় ওকে ক্লাবে আবার স্বাগত জানানো উচিত। ক্লাবের ইতিহাসে দ্রোগবা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ারদের মধ্যে অন্যতম।”