হঠাত্‌ রান রেট নিয়ম পরিবর্তনে ক্ষোভ সিএবিতেই

কোচ, ক্যাপ্টেন, নির্বাচকদের তলব সৌরভের

হঠাত্‌ নিয়ম পাল্টেও বাংলাকে চ্যালেঞ্জার ট্রফির ফাইনালে তোলা গেল না। এ দিন সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মুম্বই-কর্নাটক ম্যাচ টাই হয়ে যাওয়ায় বাংলা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেল। দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় বেশি পয়েন্ট পেয়ে বাংলার চেয়ে এগিয়ে গেল কর্নাটক। রান রেট বিচারের প্রয়োজনই হল না। শনিবার সল্টলেকের মাঠে ফাইনালে ফের মুম্বই বনাম কর্নাটক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:২১
Share:

হঠাত্‌ নিয়ম পাল্টেও বাংলাকে চ্যালেঞ্জার ট্রফির ফাইনালে তোলা গেল না। এ দিন সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে মুম্বই-কর্নাটক ম্যাচ টাই হয়ে যাওয়ায় বাংলা টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেল। দু’দলের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় বেশি পয়েন্ট পেয়ে বাংলার চেয়ে এগিয়ে গেল কর্নাটক। রান রেট বিচারের প্রয়োজনই হল না। শনিবার সল্টলেকের মাঠে ফাইনালে ফের মুম্বই বনাম কর্নাটক।

Advertisement

রান রেট বিচারের অবকাশ না এলেও বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাকে যে ভাবে নিয়ম পাল্টে ফাইনালে তোলার চেষ্টা হয়, তাতে সিএবি-র একটা বড় অংশে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কয়েকজন শীর্ষকর্তার বক্তব্য, অন্য দেশের জাতীয় দলকে এনে যখন টুর্নামেন্ট হচ্ছে, তখন তা আন্তর্জাতিক নিয়মেই হওয়া উচিত। অন্যান্য আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করা হলেও শুধু রান রেট বিচারের ক্ষেত্রে সিএবি-র নিজস্ব নিয়ম অনুসরণ করা হল কেন, এই প্রশ্ন উঠেছে। শোনা গেল, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ কর্তারাও ক্ষোভ জানিয়ে দেশে ফেরেন।

সন্ধ্যায় যুগ্মসচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “টুর্নামেন্টের আগেই নিয়মটা সবাইকে জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভুল হল কেন জানি না। ম্যাচ রেফারির (রাজীব শেঠ) অনভিজ্ঞতার জন্যই হয়তো হয়েছে।” কিন্তু আগে থেকে জানা থাকলে বৃহস্পতিবার ম্যাচ রেফারি, স্কোরার, টিম ম্যানেজার, ক্রিকেটার সবাই এক সঙ্গে কী করে ভুল করে বাংলার বিদায় সম্পর্কে নিশ্চিত হলেন, এই প্রশ্নও তুলছেন সিএবি-র অনেকেই।

Advertisement

এই বিতর্কের সঙ্গেই প্রাক মরসুম পারফরম্যান্স নিয়ে দুশ্চিন্তার মেঘ বঙ্গ ক্রিকেটের আকাশে। চার প্রস্তুতি টুর্নামেন্টেই মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। সৌরভ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ভাল খেলার পরে কেন এমন পারফরম্যান্স বুঝতে পারছি না। ব্যাপারটা খুবই উদ্বেগজনক। কোচ, ম্যানেজার, ক্যাপ্টেনের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে।”

সোমবারই বৈঠক ডেকেছেন তিনি। বৈঠকে পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করা হবে এবং আসন্ন বিজয় হাজারে ট্রফির আঞ্চলিক পর্বের জন্য দল গড়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। কোচ অশোক মলহোত্র বিরক্ত জুনিয়রদের পারফরম্যান্সে। “ওদের কাছ থেকে তেমন কিছুই পেলাম না। সুদীপ (চট্টোপাধ্যায়) চেষ্টা করেছে শুধু। যেটুকু করল, সিনিয়ররাই। মনোজ, ঋদ্ধি, দিন্দারা না থাকলে সমস্যা হচ্ছে। ওদের অনুপস্থিতিতে জুনিয়ররা দায়িত্ব নিতে পারছে না”, বললেন তিনি। সোমবার দল নির্বাচনী সভাতেও এই কথাই বলবেন বলে জানালেন কোচ। অন্যতম নির্বাচক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বললেন, “চিন্তার কিছু নেই। ভাল খেলতে না পারলেও প্রস্তুতি খারাপ হয়নি।” ৭ নভেম্বর থেকে শুরু ঘরোয়া মরসুম। সে দিন কল্যাণীতে ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিজয় হাজারের আঞ্চলিক পর্ব শুরু করবে বাংলা। দু’দিন আগে সেখানে গিয়ে প্রস্তুতি নেবে বাংলা।

এ দিন দুই ভরসা সূর্যকুমার যাদব ও অভিষেক নায়ারকে ছাড়াই নামে মুম্বই। কর্নাটক ৫০ ওভারে ২৯০-৯ তোলার পর মুম্বইও শেষ দিকে নাটকীয় রান তাড়ায় ২৯০-৯-এই শেষ করে। সিএবি-র একাংশের ধারণা, ফাইনালে বাংলাকে উঠতে না দেওয়ার জন্যই মুম্বই ম্যাচ এ ভাবে শেষ করল। অক্সিজেন জোগানো সত্ত্বেও বাংলাকে বাঁচাতে না পারার আক্ষেপ বোধহয়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন