ডেভিড ওয়ার্নার ১৩৩ বলে ১৭৮। ছবি: রয়টার্স।
সচিন তেন্ডুলকর যে দিন ক্রিকেটবিশ্বের আরও বেশি সংখ্যক দুবলাপাতলা দল নিয়ে ২৫ দেশের বিশ্বকাপ করার পক্ষে সওয়াল করলেন, সে দিনই আফগানিস্তানকে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে জোড়া রেকর্ড গড়ে চূড়ান্ত একপেশে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া যেন বুঝিয়ে দিল টেস্ট খেলিয়ে আর না খেলিয়ে দেশের শক্তির কী বিশাল আকাশ-পাতাল তারতম্য!
বিশ্বকাপের চল্লিশ বছরের ইতিহাসে রানের বিচারে বৃহত্তম জয় পেল যেমন অস্ট্রেলিয়া, তেমনই মাইকেল ক্লার্কের দল পারথে এ দিন তুলল বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান। ৫০ ওভারে ৪১৭-৬। যা ভেঙে দিল ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিরুদ্ধে ভারতের ৪১৩-৫ পূর্বতন রেকর্ড। ৪১৮ রানের টার্গেটের সামনে পড়ে আফগানিস্তান ১৪২-এ গুটিয়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়া জেতে ২৭৫ রানে। যেটা বিশ্বকাপে রানে জেতা ম্যাচে সর্বাধিক ব্যবধান।
এ দিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। বিধ্বংসী ওয়ার্নার (১৩৩ বলে ১৭৮), স্মিথ (৯৮ বলে ৯৫), ম্যাক্সওয়েলর (৩৯ বলে ৮৮)। তাও বিশ্বকাপে আজই প্রথম নামা স্লগ ওভার স্পেশ্যালিস্ট ফকনার (৭) রান পাননি কিংবা অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ক্লার্ক ব্যাট করতেই নামেননি। তার পরে রেকর্ড রান তাড়া করতে গিয়ে ৩৭.৩ ওভারে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। জনসনের (৪-২২) আগুনে পেসের সামনে। সদ্য ম্যাচ-ফিট হওয়া ক্লার্কও এ দিন পাঁচ ওভার হাত ঘোরান। ১৪ রানে একটি উইকেট পান। দু’টোই অস্ট্রেলীয় বোলিংয়ের জন্য সুলক্ষণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অস্ট্রেলীয় অধিনায়কেরও সে রকমই অভিমত। “খুব ভাল আর সহজ জয়। পুলে আমাদের এ রকম অবস্থায় যার দরকারও ছিল। তিন ম্যাচে তিন পয়েন্টের চেয়ে চার ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট তুলনায় ভাল। নক আউটের কথাও যেখান থেকে ভাবা যায়,” বলেছেন ক্লার্ক। সঙ্গে যোগ করেছেন, “ব্যাটিং-বোলিং দুটোই ভাল হয়েছে আমাদের। তবে ব্যাটিংটা অসাধারণ। ওয়ার্নার অদ্বিতীয়। স্মিথ সুন্দর। ম্যাক্সওয়েল দুধর্র্র্ষ। ইনিংসের আর মাত্র ১১ ওভার বাকি আছে দেখে ম্যাক্সিকে পাঠিয়েছিলাম আমি নিজে না নেমে। চারে নামতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের সামনে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান তোলার সুযোগ ছিল। তখন টিমের পক্ষে যেটা সবচেয়ে ভাল সেটাই করেছি। ম্যাক্সি আমাকে সঠিক প্রমাণ করেছে, ধন্যবাদ। জেমসের (ফকনার) দলে ফেরাটাও ভাল খবর। পরের শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও ও খেলবে। পারথের কন্ডিশনে এটাই আমাদের সেরা এগারো বলে নির্বাচকেরা মনে করেছেন। তবে শ্রীলঙ্কার দিন কোনটা আমাদের সেরা একাদশ হবে আবার ভাবতে হবে।” ক্লার্কের কথায় কি শেন ওয়াটসনকে ফেরানোর ইঙ্গিত?