বেঙ্গালুরু ৩ (থৈ সিংহ, ধনচন্দ্র-আত্মঘাতী, সুনীল)
ইউনাইটেড স্পোর্টস ১ (এরিক)
অনুশীলন থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও নেননি। অভিজাত আবাসনে বসে টিভি দেখছিলেন জেমস মোগা। ঘড়ির কাঁটা আড়াইটে ছুঁতে না ছুঁতেই পরিচিত লোকজনকে ফোন করতে শুরু করে দিলেন কল্যাণীতে। বার বার একটাই প্রশ্ন, “ইউনাইটেড-বেঙ্গালুরু ম্যাচের স্কোর কী?” কত বার ফোন করেছিলেন নব্বই মিনিটে? হেসে দক্ষিণ সুদানের স্ট্রাইকার বললেন, “গুনেছি না কি? অনেকবার করেছি।”
একই অবস্থা ছিল এডে চিডি, মেহতাব হোসেন, কেভিন লোবোলাল-হলুদ ব্রিগেডের সব ফুটবলারেরই। কিন্তু সুনীল ছেত্রীরা যে ভাবে ১-১ থেকে অনায়াস ভঙ্গিতে শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিলেন তাতে প্রায় সবাই হতাশ। সুব্রত ভট্টাচার্যের টিমের ম্যাচের শেষবেলায় ভেঙে পড়ার পিছনে অন্যতম কারণ ধনচন্দ্র সিংহের ভুল। শেষ দু’টি গোলই ইউনাইটেড হজম করল অনেকটা তাঁর সৌজন্যেই। বৃহস্পতিবারের ম্যাচ জিতে যাওয়ায় খেতাবের দৌড়ে অনেকখানিই এগিয়ে গেল অ্যাশলে ওয়েস্টউডের টিম। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পুণের চেয়ে সাত পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন সুনীল ছেত্রীরা। এগোলেন সুনীল নিজেও। সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে ভারত অধিনায়ক এখন সবার আগে। ১৩ গোল হয়ে গেল সুনীলের।
বেঙ্গালুরুর জয়ের খবর শুনে কিছুটা হলেও বিমর্ষ মোগা। তিনি বুঝে গিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন নয়, লিগ টেবিলে নিজেদের স্থান ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার লড়াই করতে হবে। তবে মচকালেও তিনি পেশাদার বলেই ভাঙছেন না। বললেন, “আমাদের তো আগে জিততে হবে। তার পর চ্যাম্পিয়ন হব কি না সেটা ভাবব। তবে কাজটা কঠিন হয়ে গেল।” আর মহমেডান ম্যাচে গোলে ফেরা চিডি বললেন, ‘‘আমরা বেঙ্গালুরুর থেকে চারটি ম্যাচ কম খেলেছি। আশা শেষ, এখনই বলি কী করে?”
ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা না ছাড়লেও, অবনমনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সুব্রত ভট্টাচার্যের দল চূড়ান্ত হতাশ। খেলার ফল ১-১ থাকা অবস্থায় ধনচন্দ্রের আত্মঘাতী গোলেই ২-১ করে অ্যাশলে ওয়েস্টউডের দল। সুনীলের গোলটিও হয় ধনচন্দ্রের ভুলে। সুব্রত ভট্টাচার্য অবশ্য ধনচন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলতে রাজি নন। কল্যাণী থেকে ফেরার পথে সুব্রত বললেন, “ফুটবলে এ রকম হতেই পারে। এর জন্য একা কাউকে দায়ী করা ঠিক নয়। টিম ব্যর্থ হলে, তার দায় আমাদের সবার।”