মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে গল্ফের তিন-তিনটি মেজর টুর্নামেন্ট জিতে টাইগার উডস এবং জাক নিকোলাসের মতো কিংবদন্তিদের পাশে বসার দিনেই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ররি ম্যাকিলরয়।
গল্ফের অন্যতম গ্র্যান্ড স্ল্যাম, ব্রিটিশ ওপেনের সদ্য চ্যাম্পিয়ন এক খুদে আটোগ্রাফশিকারির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হয়লেক গল্ফ ক্লাবে গতকাল দুই শটে জিতে খেতাব নিশ্চিত করার পর ম্যাকিলরয়ের সই নিতে গিয়েছিল বাচ্চা ছেলেটি। কিন্তু তাকে ঠেলে সরিয়ে এগিয়ে যান আইরিশ তারকা। শুধুু তাই নয়, শেষ রাউন্ড চলার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে এক দর্শককে মাঠের বাইরে বের করিয়েছিলেন ম্যাকিলরয়। “লোকটা অনেকক্ষণ ধরে বিরক্ত করছিল। শট খেলার মাঝে কেশে আমার মনঃসংযোগ নষ্টের চেষ্টাও করে। তাই ওকে বের করিয়ে দিই,” আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেছেন গল্ফার। কিন্তু এই দুই ঘটনায় তাঁর মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সমালোচনার মাঝেই ম্যাকিলরয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন গল্ফার ইয়ান পৌলটার। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “ররিকে ভুল বোঝা হচ্ছে। আমাদের বলাই আছে, স্কোরিং কার্ড জমা না দেওয়া পর্যন্ত সই দেওয়া যাবে না।”
খেতাব মা রোজিকে উৎসর্গ করেন ম্যাকিলরয়। কোর্সেই ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন রোজি। তবে জল্পনা চলছে, এই জয়ের প্রেরণা কি ম্যাকিলরয়ের নতুন বান্ধবী, আইরিশ মডেল নাদিয়া ফোর্দে? গত মে-তে কার্ড বিলির পরে শেষ মুহূর্তে টেনিস তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন ম্যাকিলরয়। তার পর থেকেই ফোর্দের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ আরও জমাট হয়েছে। এমনকী, হয়লেক গল্ফ ক্লাবে ব্রিটিশ ওপেন শুরুর মুখে ফোর্দের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্র্যাক্টিস ছেড়ে ছুটে গিয়েছিলেন ম্যাকিলরয়। ফলে নতুন ‘বন্ধু’-ই তাঁর দুরন্ত ফর্মের আসল প্রেরণা কি না, জোর চর্চা মিডিয়ায়। ম্যাকিলরয় নিজে অবশ্য বলেছেন, “গত বছর মুইরফিল্ডে ব্রিটিশ ওপেনে কাট না পাওয়াটাই তাতিয়ে দিয়েছিল।”
অন্য দিকে, দীর্ঘ খেতাব খরা কাটিয়ে গতকাল ইস্তানবুলে জেতেন ওজনিয়াকিও। ফাইনালে ইতালির রবের্তা ভিঞ্চিকে ৬-১, ৬-১ চুরমার করে ট্রফি জেতা মেয়ে টুইটারে নিজের হিল পরা ছবি দিয়ে লেখেন, “তিন বছর পর আবার প্রকাশ্যে হিল পরতে পারছি।” ম্যাকিলরয়ের থেকে ইঞ্চি দুই লম্বা ক্যারোলিনের খোঁচাটা কার উদ্দেশ্যে, বুঝতে ভুল হচ্ছে না কারও।