গুয়াহাটিতে জাতীয় দলের কোচ। বুধবার। ছবি: উজ্জ্বল দেব।
খারাপ পারফরম্যান্সের জন্যই জাতীয় দল থেকে মেহতাব হোসেনকে বাদ দিয়েছেন, জানিয়ে দিলেন স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। নেপালের বিরুদ্ধে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে গুয়াহাটিতে এসেছেন জাতীয় দলের নতুন কোচ।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল মিডিও। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তা নিয়েই প্রশ্ন করা হয় স্টিভনকে। “মেহতাবকে জাতীয় দলে আমিই নিয়েছিলাম। তখন ও বক্স টু বক্স খেলত। ও অসাধারণ ফুটবলার। কিন্তু এখন ওয়ার্ক লোড নিতে পারছে না।” বলার পর মেহতাবকে নিয়ে বাতিল হওয়ার পরও ফের ফিরে আসা কোচের চমকপ্রদ মন্তব্য, “গোয়ায় যে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল পাঁচ গোল দিয়েছিল ডেম্পোকে, সেই ম্যাচে গোল বক্সের সামনে সাতটা ফাউল করেছিল মেহতাব। এরপর....”
আজ বৃহস্পতিবার থেকে জাতীয় দলের শিবির শুরু হচ্ছে গুয়াহাটিতে। ফুটবলাররাও আসতে শুরু করেছেন। যারা বুধবার আই লিগের ম্যাচ খেলছেন সেই ফুটবলাররা যোগ দেবেন দু’একদিনের মধ্যেই। ভারতের প্রথম ম্যাচ ১২ মার্চ। কিন্তু ওই ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রাখছেন স্টিভন। দু’বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করেছেন সুনীল ছেত্রী। তাঁকে সেই পদে রাখা হবে কী না তা বলতে চাননি কোচ। “সব ফুটবলাররা আসুক। তাদের মানসিকতা দেখি। তারপর তো অধিনায়ক নির্বাচন। ওটা একেবারেই আমার নিজস্ব ভাবনা। এখন অধিনায়কের পদটা শূণ্য আছে।”
উইম কোভারম্যান্সের জায়গায় জাতীয় দলের কোচ হয়ে আসা স্টিভনের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে প্রাক-বিশ্বকাপ ম্যাচ দিয়েই। ‘নেপালের সঙ্গে ম্যাচ জমবে’, ‘আপনারা এসে আমাদের সমর্থন করুন’-এর মতো কথা বললেও নেপালকে হারাবই একথা জোর দিয়ে বলেননি সুনীল-অর্ণব মণ্ডলদের নতুন কোচ। “কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি আমরা। সামনে কঠিন ম্যাচ। আমাদের ভাল কিছু করতেই হবে,” বলার পাশাপাশি স্টিভনের মন্তব্য করেন, “আমিই ভারতের প্রথম কোচ যিনি দ্বিতীয়বার ফিরে এলাম। এ জন্য ফেডারেশনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থাকে জুনিয়র ফুটবলার তুলে আনার পরামর্শও দেন তিনি। “আমি যে ফুটবলারদের নিয়েছি। তারা তো আই লিগে ভাল খেলছে। সেই অর্থে রেডিমেড ফুটবলার। জুনিয়র ফুটবলার তুলে না আনতে পারলে দেশের ফুটবল উপকৃত হবে।”