গাজা বিতর্কের আকাশে এ বার লিওনেল মেসিও।
ইজরায়েলি মিডিয়ায় গত কয়েক দিন ধরে মেসিকে নিয়ে তীব্র উত্তেজনা চলছে। সেখানকার সংবাদপত্রে মেসির একটি ফেসবুক পোস্ট প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, গাজায় শিশুদের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন মেসি। যাতে তিনি বলেন, ‘‘এক জন বাবা আর ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের ঝামেলা থেকে যে সব ছবি উঠে আসছে তাতে আমি মর্মাহত। ইতিমধ্যেই হিংসার বলি বহু তাজা প্রাণ, আহত অসংখ্য শিশু। এই সমস্যার জন্য কিন্তু শিশুরা দায়ী নয়। কিন্তু চরম মূল্যটা ওদেরই দিতে হচ্ছে। এই অর্থহীন হিংসা বন্ধ হওয়া দরকার। সামরিক দ্বন্দ্বের পরিণাম সম্পর্কে সবাইকে করতে হবে। সঙ্গে শিশুরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা যে কোনও মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’’ নিমেষের মধ্যে মেসির এই পোস্ট নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। তাঁর ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকে যেমন বার্সেলোনা তারকার বক্তব্য সমর্থন করেন তেমনই অনেকে প্রশ্ন তোলেন কী ভাবে তিনি একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করতে পারেন। অনেকে আবার দাবি করেন পোস্টটি সরিয়ে দেওয়ার। বার্সেলোনার রাজপুত্র প্যালেস্তাইনকে সমর্থন করছেন বলে রাজনৈতিক রং চড়ানোরও প্রয়াস কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিতর্ক এড়াতেই হয়তো পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে কোথায়!
কিছুদিন আগেই মেসি ইজরায়েলকে এক মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য করেছেন বলে দাবি করেছিল কয়েকটি ওয়েবসাইট। পরে বার্সেলোনার মহাতারকা যা অস্বীকার করেন। পরে শোনা যায় ভুয়ো দাবি তোলার জন্য মামলা করার কথাও ভাবছেন তিনি। তার পরই ফের তৈরি হল এই বিতর্ক। গত বছরই মেসি সহ বার্সেলোনা ইজরায়েলে দু’দিনের ‘পিস ট্যুর’-এ অংশ নিয়েছিলেন।
এর মধ্যে আবার শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়াতেই আসন্ন মরসুমে ক্লাবের অন্যতম ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ দেন মেসি। সঙ্গে বার্সেলোনার ‘ক্যাপ্টেনস আর্মব্যান্ড’ হাতে জাভি, ইনিয়েস্তা, বুস্কেতসের সঙ্গে ছবিও পোস্ট করেন। বলেন, ‘সতীর্থদের ধন্যবাদ আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য আর আমাকে অন্যতম ক্লাব ক্যাপ্টেন বাছার জন্য।’
গত মরসুমে বার্সেলোনা ট্রফিহীন ছিল। এ বার ট্রফির খরা কাটাতে সুয়ারেজ, নেইমার আর মেসির ত্রয়ীর উপরই ভরসা বার্সার সমর্থকদের। কিন্তু মরসুম শুরুর আগেই যে ভাবে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন আর্জেন্তিনীয় তারকা তাতে তাঁর মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়া নিয়ে আশঙ্কায় বার্সেলোনার কিছু সমর্থক।