প্রবাদ আছে‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট’।
কিন্তু কোনও ভাল প্লেয়ারের দুঃসময়ে এই প্রবাদটা কারও মনে থাকে না। গৌতম গম্ভীরের কথাই ভাবুন না। এ বার শুরুটা ওর কী খারাপই না হয়েছিল। কিন্তু কী ভাবে ও সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এল দেখুন।
আমি খবরের কাগজের পোকা নই। কমেন্ট্রিও শুনি না খুব একটা। এমন কিছু আবেগপ্রবণও নই। বরাবরই আমি এ রকম। তবু বুঝি যে, মিডিয়াকে তাদের কাজ করতেই হয়। ওদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। সেই আমার চোখ-কানও কি না গোতিকে নিয়ে ওঠা হাজারো প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেনি। কী পাগলামি!
আমাদের ক্যাপ্টেন এমন এক যোদ্ধা, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াই যার পছন্দ। শত্রুর উপর চেপে বসে লড়াই করতে খুব ভালবাসে গোতি। কোনও ঝামেলার মধ্যে ওর মতো কাউকে পাশে পাওয়া যে স্বস্তিদায়ক, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রথম তিন-চারটে ম্যাচে ও যখন ব্যর্থ হল, তখন যে কী হতাশ হয়েছিল, তা বলে বোঝাতে পারব না। ও ফিরে আসতে পারবে কিনা, এই প্রশ্নে অন্যদের মনে সন্দেহ থাকলেও ওর নিজের এই নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না।
টুর্নামেন্ট যত শেষ দিকে যাচ্ছে, রবিন উথাপ্পা ওর সেরা ফর্মের দিকে এগোচ্ছে। আর ওকে ওর সেরা ফর্মে ব্যাট করতে দেখাটা বেশ আনন্দের। সত্যিকারের ম্যাচ উইনার। ওর দিনে রবিন যে কোনও বোলারের দুঃস্বপ্ন। অপ্রতিরোধ্য। যদি গোতি আর রবিন এই ফর্ম বাকি ম্যাচগুলোতে বজায় রাখতে পারে, তা হলে আমাদের প্লে অফে ওঠা রোখে কে?
আমার নিজের ভূমিকাটাও এ বার বেশ উপভোগ করছি। ব্যাটিং, বোলিং কোনও কিছুতেই চাপ নেই। যে কোনও অবস্থায় বল করতে পারি, ওপেন না করলে তিন বা চারে ব্যাট করতেও আপত্তি নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্য আমার কোনও নির্দিষ্ট ভূমিকা না থাকাই ভাল। তা ছাড়া আমরা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হয়ে উঠলে শত্রু শিবিরের কাজ আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
আজ যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আমাদের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া হয়ে উঠবে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। লিগ টেবিলের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন, প্লে অফে যেতে গেলে মুম্বইকে এ বার সব ম্যাচ জিততে হবে। এবং এই ব্যাপারটাই ওদের ভয়ঙ্কর করে তুলতে পারে।