বাংলায় কি ভাল ফুটবলারের অভাব? না হলে সন্তোষ ট্রফি খেলে ফেরা ছয় ফুটবলারকে কেন নেওয়া হল জাতীয় গেমসের টিমেও? কেরল জাতীয় গেমসের পুরুষ ও মহিলা ফুটবলের জন্য শনিবার কুড়ি জনের যে চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সদ্য শিশির ঘোষের দলের হয়ে সন্তোষে যাঁরা খেলে এসেছেন তাঁদের মধ্যে ছয় জনকে রাখা হয়েছে। যা অভিনব।
কলকাতায় পাঁচটি ডিভিশনের লিগ হয়। দেশের কোনও রাজ্যে এত ক্লাব বা লিগ নেই। হাজার হাজার নথিভুক্ত ফুটবলার রয়েছেন। সেজন্যই প্রশ্ন উঠেছে, সন্তোষ এবং গেমসের জন্য চল্লিশ জন ভাল ফুটবলার যদি না পাওয়া যায় তা হলে এতগুলো ডিভিশন চালিয়ে কী লাভ হচ্ছে আইএফএ-র? আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। বললেন, “বাংলার সেরা ফুটবলারদের নিয়ে গেমসের টিম বানানোর জন্যই এটা করতে হয়েছে। সন্তোষ ট্রফির মূলপর্ব শুরু হতে এখনও সময় আছে। কোনও অসুবিধা হবে না।” কিন্তু জানা গিয়েছে, এখন কোনও লিগ চলছে না। ফলে ফুটবলার বাছারও সুযোগ নেই। সে জন্যই হাতের কাছে থাকা ফুটবলারই নিতে হয়েছে টিমে। ফেডারেশন এখনও সন্তোষের মূলপর্বের তারিখ জানায়নি। ফলে সেই সুযোগটা নিয়েছে আইএফএ।
জামশেদপুরে সদ্য খেলে আসা সন্তোষের টিম থেকে গেমসের টিমে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা হলেন ইমরান খান, রাজু গঙ্গোপাধ্যায়, সোরাবুদ্দিন মল্লিক, প্রসেনজিৎ পাল, সুখদেব মুর্মু, সৈকত সাহা রায় ও ফুলচাঁদ হেমব্রম। পুরুষ এবং মহিলাদের অধিনায়ক কে হবেন তা অবশ্য ঘোষণা করা হয়নি। রোটেশন পদ্ধতিতেই ঠিক করা হবে অধিনায়ক।
এ দিকে, আইএফএ-র নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফুটবলারদের ‘খেপ’ খেলা চলছেই। শনিবার সরস্বতী পুজোর দিন মহিষাদলের রাজ ময়দানে দেখা গেল সন্তোষ ট্রফির স্ট্রাইকার নীলকান্ত পারিয়াকে নাম ভাঁড়িয়ে খেলতে। চারটি ম্যাচের মধ্যে শেষ ম্যাচটি নিজের নামে খেলতে গিয়েই ধরা পড়ে যান নীলকান্ত। বাকি তিনটি ম্যাচ তিনি খেলেন বাংলার আর এক ফুটবলার রাজা দাসের নামে। যা নিয়ে শোরগোল পরে যায়।