গড়াপেটার আশঙ্কায় রাতের ঘুম ছুটেছে বাংলার

পঞ্জাবের সঙ্গে ড্র করার পর হঠাৎই ম্যাচ গড়াপেটার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাংলা শিবিরে। সন্তোষ ট্রফিতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শনিবার পঞ্জাবের সঙ্গে ০-০ ড্র করায় আটকে গেল বাংলা। এই ম্যাচটি জিততে পারলে শেষ চারে চলে যেত শিশির ঘোষের দল। এখন পরিস্থিতি যা তাতে সেমিফাইনালে উঠতে সোমবার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে জিততে হবে বাংলাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৫ ০২:৩৭
Share:

পঞ্জাবের সঙ্গে ড্র করার পর হঠাৎই ম্যাচ গড়াপেটার আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাংলা শিবিরে।

Advertisement

সন্তোষ ট্রফিতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শনিবার পঞ্জাবের সঙ্গে ০-০ ড্র করায় আটকে গেল বাংলা। এই ম্যাচটি জিততে পারলে শেষ চারে চলে যেত শিশির ঘোষের দল। এখন পরিস্থিতি যা তাতে সেমিফাইনালে উঠতে সোমবার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে জিততে হবে বাংলাকে। ড্র বা হেরে গেলে অন্য ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে পঞ্জাব বনাম মহারাষ্ট্রের ম্যাচের উপর নির্ভর করে থাকবে বাংলার ভাগ্য। ওই ম্যাচটি মঙ্গলবার। আর তাতেই যাবতীয় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্জাব মাঠে নামার আগেই বাংলার ফল দেখে নিতে পারবে। সে জন্যই শিশির-তনুময়রা আশঙ্কিত।

সন্তোষে আগে বহু বার ম্যাচ গড়াপেটার জন্য শিরোনামে এসেছে। সেই পরিস্থিতি এড়াতেই ফেডারেশনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলার টিম ম্যানেজমেন্ট। লুধিয়ানা থেকে ফোনে বাংলার কোচ শিশির ঘোষ বলেন, “আমরা ফেডারেশনকে চিঠি পাঠিয়েছি। পঞ্জাব ম্যাচও এক দিনে করার জন্য। না হলে অন্য দল সুবিধা পাবে। কুইলন কেলেঙ্কারির কথা কো আমাদের সবার জানা।”

Advertisement

লিগ টেবলের যা অবস্থা তাতে তিন ম্যাচ খেলে এখন সার্ভিসেস ও বাংলা একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। দু’জনেরই ৭ পয়েন্টে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে পঞ্জাবের পয়েন্ট ৫। অর্থাৎ শেষ ম্যাচ জিততে পারলেই শীর্ষে থেকেই সেমিফাইনাল পৌছবে বাংলা। যদি শিশিরের দল ড্র করে আর পঞ্জাব মহারাষ্ট্রকে হারায় তবে তিন দলের পয়েন্ট হবে ৮। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে নিজেদের মধ্যে খেলার রেজাল্ট ও কোন দল বেশি গোল করেছে।

এ দিন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রচুর গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলা। রাজা দাস যাঁর প্রথম দু’ম্যাচে তিন গোল আছে তিনিও এ দিন ব্যর্থ। চোট থেকে ফিরে সোরাবুদ্দিন মল্লিকও গোল করতে পারেননি। তা সত্ত্বেও শিশিরের মতে, দল খুব ভাল খেলেছে। “লড়াই করেছে ছেলেরা। ম্যাচের ভিডিও এনে দেখালে দেখাতাম কত খারাপ রেফারিং হয়েছে। সোরাবুদ্দিনকে পেনাল্টি বক্সে ফেলে দিয়েছে। তাতে কোনও পেনাল্টি পেলাম না।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “অন্তত চার গোল হত আজ। তবে শেষ ম্যাচ আমরাই জিতব। এক দিন অন্তর খেলতে হচ্ছে বাংলাকে। ক্লান্তির জন্য সমস্যা হচ্ছে।” এ দিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় আবার সার্ভিসেস ম্যাচে খেলতে পারবেন না সৈকত সাহা রায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন