এন শ্রীনিবাসনের আসনে বসুন সুনীল গাওস্কর সুপ্রিম কোর্টের এই প্রস্তাব নিয়ে যখন ঝড় দেশের ক্রিকেট মহল, তখন গাওস্কর নিজে এই দায়িত্ব নিতে রাজি। আদালতের রায় মাথা পেতেই নেবেন বলে জানান তিনি। তবে আইপিএল বন্ধ হলে বা চেন্নাই সুপার কিংস, রাজস্থান রয়্যালসকে ছাড়াই আইপিএল হলে তা দুঃখজনক হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর নাম প্রস্তাব হওয়ার পর গাওস্কর এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট বললে তো কিছু করার নেই। দায়িত্ব না নেওয়ার প্রশ্নও নেই। বিচারপতিরা যা বলবেন, তা খুশি হয়েই করব।” আদালতে তাঁর নাম প্রস্তাব হওয়াটা যথেষ্ট সম্মানজনক বলে মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি। তাঁর মতে, “সুপ্রিম কোর্ট এই দায়িত্ব পালনের জন্য যে আমাকে যোগ্য মনে করেছে, এতেই আমি যথেষ্ট সম্মানিত। তবে কাল কোন দিকে জল গড়ায়, তা দেখতে হবে। এখন থেকেই এত লাফালাফি করে লাভ নেই।”
নতুন এই চ্যালেঞ্জের জন্যও তিনি তৈরি, জানালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। বললেন, “ওপেনারদের সব রকম চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি থাকতে হয়। সব রকম পিচেই খেলতে হয়। আমিও তৈরি। যদিও এ সবের বাইরে থাকতেই আমি বেশি ভালবাসি, কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট চাইলে তো আর ‘না’ করা যাবে না।”
তবে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সিএসকে ও রাহুল দ্রাবিড়ের রাজস্থান রয়্যালসকে বাদ দিয়েই আইপিএল করার যে প্রস্তাব দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত, তাতে কিছুটা হলেও হতাশ প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার। বলেন, “এটা দুঃখজনক। সিএসকে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন। রাজস্থান রয়্যালসও ২০০৮-এ খেতাব জিতেছিল। তাই সুপ্রিম কোর্টের এই প্রস্তাবে ক্রিকেটপ্রেমীরা দুঃখ পাবেন।”
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আইপিএল বন্ধ রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর, আই এস বিন্দ্রারা, তাতেও সায় নেই গাওস্করের। বলেন, “এই অবস্থায় একাধিক মত থাকতেই পারে। আমি জানি না আইপিএল বন্ধ রাখলে কী উপকার হবে। চোদ্দো বছর আগে যখন গড়াপেটা কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছিল, তখনও তো ক্রিকেট বন্ধ হয়নি। সঠিক পদক্ষেপ করতে হবে। প্রতি দলের সঙ্গেই দুর্নীতিদমন অফিসার থাকা উচিত।” শ্রীনিবাসনের গদি আঁকড়ে পড়ে থাকা নিয়ে অবশ্য গাওস্কর তেমন কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, “অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তো কাউকে দোষী বলা যায় না। আমার পক্ষে এই নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।”