টানা তিন ম্যাচ জয়ের মুখ না দেখা ইস্টবেঙ্গল বাকি দশ ম্যাচে চ্যাম্পিয়নশিপের রাস্তায় থাকতে পারবে কি? কোচ আর্মান্দো কোলাসো বলছেন, “নো কমেন্টস। মঙ্গলবার মহমেডান ম্যাচের পর এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে।”
১৭ ম্যাচের পর ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তেরো দলের লিগে দ্বাদশ স্থানে থাকা মহমেডান অবনমনের খাদ এড়াতে পারবে কি? ইস্টবেঙ্গল কোচের মতোই মহমেডান কোচ সঞ্জয় সেন প্রথমে বললেন, “এ ব্যাপারে এখন কোনও কথা নয়।” তার পরে বললেন, “অবনমনে পড়ব না আমরা। বাকি সাত ম্যাচ থেকে ‘সেফ জোন’-এর পয়েন্ট তুলে নেবে ছেলেরা।”
মঙ্গলবার যুবভারতীতে লিগ টেবলে ন’নম্বর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে লড়াই মহমেডানের। চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকতে আর্মান্দোকে যেমন এই ম্যাচ জিততে হবে, তেমনই অবনমন এড়াতে গেলে মহামূল্য তিন পয়েন্ট চাই সাদা-কালো শিবিরেরও।
শেষ তিন ম্যাচের একটাও জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। উল্টে কোচ-ফুটবলার সম্পর্কে হঠাৎই উত্তেজনার চোরাস্রোত। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো মহমেডান ম্যাচে আবার চোটের কারণে নেই মেহতাব হোসেনও। লাল-হলুদ অধিনায়ক তবুও বললেন, “পেন, জোসিমার, নবির দ্রুত কাউন্টার অ্যাটাক থামিয়ে জয় চাই।” লাল-হলুদ শিবিরের ভিতরের খবর, মহমেডানের বিরুদ্ধে চার বিদেশিকেই পাবেন আর্মান্দো। যার অর্থ, চিডি খেলতে পারেন। চিডি নিজেও বলছেন, “শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। ব্যথা নেই। সোমবার অনুশীলনের পর কোচ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
উল্টো দিকে মোহনবাগান ম্যাচের পর ফের আরও একটা বড় ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে মহমেডান স্পোর্টিং। তবে তা নিয়ে ভাবতে নারাজ মহমেডান কোচ। বলছেন, “জিততেই হবে।” সাদা-কালো শিবিরে হালকা চোট রয়েছে লুসিয়ানোর। সেটাই চিন্তা সঞ্জয় সেনের।
দিনকয়েক আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ আক্ষেপ করেছিলেন যে, তাঁর দলে কোনও প্রকৃত নেতা নেই, যিনি মানসিক ভাবে দলকে চাঙ্গা রাখতে পারেন। ঠিক এটাই মানতে নারাজ মহমেডান মিডফিল্ডার পেন। তাঁর কোথায়, “কে বলল নেতা নেই ইস্টবেঙ্গলে? ওদের চার বিভাগেই নেতৃত্ব দিয়ে খেলার ফুটবলার রয়েছে।” সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “মোহনবাগান ম্যাচের বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর তরতাজা হয়ে নামবে। সুতরাং লড়াই কঠিন আমাদের। তবে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে।”