একটা ম্যাচ বাকি থাকতে আমরা প্লে-অফে! কেকেআর ক্যাম্পে তাই গভীর স্বস্তি। প্রথম সাতটা ম্যাচের পাঁচটা হেরে আজ আমরা এই জায়গায় থাকব, অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেননি। আমিরশাহি ছাড়ার সময়ই জানতাম, টানা কয়েকটা ম্যাচ জিততে হবে। দু’বছর আগে যখন ট্রফি জিতি, তখনও টানা সাতটা ম্যাচ জিতেছি। সেই টিমের অনেকেই এ বারও কেকেআরে। তাই জানতাম, এটা সম্ভব। এটাও জানতাম, লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য কয়েকটা অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দরকার। আশা করতে পারিনি, তার বেশির ভাগই আসবে একটা লোকের কাছ থেকে! সত্যি, রবিন উথাপ্পা কী দারুণ ফর্মেই না আছে! টানা আট ম্যাচে চল্লিশ বা তার বেশি স্কোর। শুনলাম সেটা নাকি বিশ্বরেকর্ড।
এর অন্যতম রহস্য হল ‘রেসপেক্ট অ্যান্ড রিল্যাক্স’। তুমি যে রানগুলো করছ, তার সম্মান করো। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি ভেবো না। রব নিজেই বলে, ও ‘শুধু ব্যাট করছে’। টানা দু’তিনটে ম্যাচে রান করা মানেই কিন্তু এই নয় যে তার পর ব্যর্থতা আসবেই। এটা মিথ্যে প্রবাদ, যেটা বড্ড বেশি তরুণ ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করে। প্রত্যেকটা ইনিংসই নতুন একটা শুরু।
যাই হোক, আত্মতুষ্টির সম্ভাবনাই নেই কেকেআরে। টিমে প্রচুর সিনিয়র আছে যারা আগেও এ রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এক দিক দিয়ে দেখলে এখনই আমাদের কঠিন কাজটা শুরু হল। টেবলে দু’নম্বর হতে পারলে ফাইনালে ওঠার দুটো সুযোগ পাব। কিন্তু সেটা যদি না হয়, যদি একটা ম্যাচেই লড়তে হয়, তার জন্যও আমরা প্রস্তুত। টানা ছ’টা ম্যাচ তো জিতেছি। এর পর টানা আরও তিনটে ম্যাচ জিতলে আবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাব। আমরা সেটা করতে পারব।
ইডেনে খেলতে আমরা সবাই খুব ভালবাসি। কে বলতে পারে, ইডেনে আরও কয়েকটা ম্যাচ পেলে আমাদের পয়েন্ট আরও বেশি হত না? ইডেনে যা সমর্থন পাই, তার মূল্য বোধহয় দশ-পনেরো রান আর একটা উইকেট।