এগোলেন নাদাল, মারে

নিক স্বপ্ন দেখাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে

অস্ট্রেলীয়দের তিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ব্রিটিশদের উদ্বেগে রাখছেন। রজার ফেডেরার-ফ্যান ক্লাবের গায়ের জ্বালা জুড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি, নিকোলাস হিলমি ‘নিক’ কিরগিয়োস অস্ট্রেলীয় ওপেনের রবিবাসরীয় নায়ক হয়ে রইলেন এ দিন। ফেডেরার-ঘাতক আন্দ্রিয়াস সেপ্পিকে পাঁচ সেটের ম্যারাথনে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে। জয়ের গল্পে নাটকীয় উপাদান ভুরি ভুরি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:২৪
Share:

ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে ব্যস্ত মারে।

অস্ট্রেলীয়দের তিনি স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

Advertisement

ব্রিটিশদের উদ্বেগে রাখছেন।

রজার ফেডেরার-ফ্যান ক্লাবের গায়ের জ্বালা জুড়িয়ে দিচ্ছেন।

Advertisement

তিনি, নিকোলাস হিলমি ‘নিক’ কিরগিয়োস অস্ট্রেলীয় ওপেনের রবিবাসরীয় নায়ক হয়ে রইলেন এ দিন। ফেডেরার-ঘাতক আন্দ্রিয়াস সেপ্পিকে পাঁচ সেটের ম্যারাথনে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে। জয়ের গল্পে নাটকীয় উপাদান ভুরি ভুরি। উনিশের টিনএজার প্রথম দু’টো সেট হেরে বসেছিলেন ৫-৭, ৪-৬। ফেডেরারকে ছিটকে দেওয়া বিশ্বের ৪৬ নম্বর ইতলীয় সহজে জিতে যাচ্ছেন বলে যখন প্রায় ধরেই নেওয়া হয়েছে, লড়াইয়ে ফেরা শুরু করেন কিরগিয়োস। এবং পরের তিন সেট জেতেন ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫), ৮-৬। “যখন দেখলাম ম্যাচটা শেষপর্যন্ত জিতে গিয়েছি, কী যে অসাধারণ লাগল কী বলব! জীবনের সেরা অনুভূতি!” দর্শকদের বললেন, “ধন্যবাদ বন্ধুরা। দারুণ লাগছে!” উচ্ছসিত কিরগিয়োস। আর তাঁর চেয়েও বেশি উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলীয় দর্শক। যাঁরা নিকের মধ্যে লেটন হিউইটের পর আরও এক জন অস্ট্রেলীয় ওপেন চ্যাম্পিয়নকে এখনই দেখতে পাচ্ছেন।

রড লেভার এরিনায় ২০০৫-এ ট্রফি উঠেছিল হিউইটের হাতে। ন’বছর পর আরও একবার কাপটা কোনও অস্ট্রেলীয়ের হাতে ওঠার আগে অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যান্ডি মারের বাধা টপকাতে হবে কিরগিয়োসকে। মারে এ দিন রড লেভার এরিনায় রাতের ম্যাচে গ্রিগর দিমিত্রভকে চার সেটে হারালেন ৬-৪, ৬-৭ (৫-৭), ৬-৩, ৭-৫। মারিয়া শারাপোভার বয়ফ্রেন্ড অ্যান্ডি মারেকে চাপে ফেললেন ঠিকই। কিন্তু ষষ্ঠ বাছাই ব্রিটিশ তারকাকে হারানোর জন্য সেটা যথেষ্ট হল না। যে লড়াকু মনোভাব মারের ট্রেডমার্ক, সেটাই টেনে বের করে রাতের দর্শকদের দুর্দান্ত একটা ম্যাচ উপহার দিলেন মারে। তবে এ দিন যাঁরা তাঁর হয়ে গ্যালারিতে গলা ফাটালেন, কিরগিয়োসের সঙ্গে শেষ আটের যুদ্ধে তাঁরা কতটা পাশে থাকবেন বলা যাচ্ছে না। এমনিতে টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত দারুণ ফর্মে মারে। তবে দারুণ তেতে আছেন কিরগিয়োসও। আর সেটাই ভাবাচ্ছে ব্রিটিশ সমর্থকদের। গত বছর উইম্বলডন থেকে রাফায়েল নাদালের ছুটি করে দিয়েছিলেন কিরগিয়োস। এ দিন আবার জিতে বলেছেন, “জানতাম রজারকে হারানোর পর সেপ্পির আত্মবিশ্বাস দারুণ জায়গায় আছে। প্রথম দুই সেট হেরে চাপেও পড়ি। কিন্তু গত বছর উইম্বলডনে চার সেট লড়ে রাফাকে হারিয়েছিলাম। জানতাম পাঁচ সেট লড়ার শক্তি আমার আছে।” কোয়ার্টার ফাইনালে মারের বিরুদ্ধে একই রকম লড়াইটা কিরগিয়োস বের করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।

এ দিকে, এমন সব রক্তচাপ বাড়ানো ম্যাচের মধ্যেই নাদাল একদম একপেশে ৭-৫, ৬-১, ৬-৪ জিতে শেষ আটে। ছ’ফুট সাত ইঞ্চির দক্ষিণ আফ্রিকান বিগ সার্ভার কেভিন অ্যান্ডারসেন দাঁড়াতেই পারলেন না চোদ্দো গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিকের দাপুটে টেনিসের সামনে। “খুব কঠিন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর এই রেজাল্টটা দারুণ লাগছে। নিজের খেলায় আমি খুশি। সম্ভবত এই টুর্নামেন্টে আমার সেরা ম্যাচ,” বলেছেন নাদাল। শেষ আটে নাদালের সামনে চেক টমাস বের্ডিচ। যাঁকে শেষ সতেরো সাক্ষাতে হারিয়েছেন নাদাল। অস্ট্রেলীয় বার্নার্ড টমিচকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বের্ডিচ বলেছেন, “শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত লড়াইটা করে যাব।”

মেয়েদের শেষ আটে আবার মারিয়া শারাপোভা-ইউজিনি বুশার্ড তুলকালাম ম্যাচের পাশে আর এক লড়াই রোমানিয়ার তৃতীয় বাছাই সিমোনা হালেপ বনাম রাশিয়ার দশম বাছাই একাতেরিনা মাকারোভা। অন্য দিকে, মিক্সড ডাবলসে এগোলেন লিয়েন্ডার পেজ। তবে ছিটকে গেলেন রোহন বোপান্না। মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে লিয়েন্ডারের জুটি এখানে সপ্তম বাছাই। মিক্সড ডাবলসের প্রথম রাউন্ডে তাঁরা ৬-২, ৭-৬ হারালেন অস্ট্রেলীয় জুটি মাসা জোবানোভিচ-স্যাম টমসনকে। বোপান্না ও তাঁর চেক পার্টনার বারবোরা ঝালাভোভা স্ট্রাইকোভা অবশ্য হেরে গেলেন তৃতীয় বাছাই জুটি ক্রিস্টিনা ম্লাদেনোভিচ-ড্যানিয়েল নেস্টরের কাছে।

ছবি: এএফপি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন