বিশ্বের অন্যতম সেরা বিনোদন-পার্কে গিয়ে নিজেদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেও মাঠে যে ততটা চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারেননি নাইটরা, তা বোঝা গেল সোমবার। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে প্র্যাকটিস ম্যাচে হার দিয়ে মরুশহরে আইপিএল অভিযান শুরু করলেন গৌতম গম্ভীররা। তাতে অবশ্য নাইট শিবিরে তেমন কোনও দুশ্চিন্তা নেই। বিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চারার মাইক হর্ন যেমন নাইটদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত, তেমনই দলের বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রম কেকেআর টিমের মধ্যে সাফল্যের খিদে দেখতে পাচ্ছেন।
আর মাত্র এক দিন পর আইপিএল সেভেনের পর্দা উঠতেই মাঠে নামছেন নাইটরা। সেখানে প্র্যাকটিস ম্যাচে চেন্নাইয়ের কাছে এই হার তাঁদের ঘুম ভাঙাল কিনা, সেটাই দেখার। এ দিন আবু ধাবির শেখ জাইদ স্টেডিয়ামে কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে কুড়ি ওভারে মাত্র ১২১-৮ তোলে। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে প্রথমে চার ওভারে ৫২ ও পরে ১২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান তুলে ফেলে চেন্নাই। ধোনি এই ম্যাচে খেলেননি। দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন ফাফ দুপ্লেসি। ডোয়েন স্মিথ তো এক ওভারে চারটে চার ও দুটো ছয় হাঁকান। ২১ বল খেলেই ৫৫ তুলে ফেলেন স্মিথ। আট ওভার বাকি থাকতেই যখন লক্ষ্যের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে চেন্নাই, তখন তারা কেকেআরকে প্রস্তাব দেয়, টার্গেট বাড়িয়ে ১৬৫ করার। নাইটরা ‘না’ করেননি। তাও অনায়াসে তুলে ফেলে চেন্নাই। স্মিথই এই ম্যাচের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ পর্যন্ত ৩১ বল খেলে ৭৪ রান করেন তিনি। চেন্নাইয়ের কোচ স্টিভন ফ্লেমিং বলেন, “চার দিকে এত বিতর্ক। এর প্রভাব টিমে পড়লেও সেটা অস্বাভাবিক নয়। মাঠে নেমে ভাল খেলা শুরু করলে অবশ্য এ সব দূরে সরে যাবে।” নাইটদের কোনও ব্যাটসম্যানকে অবশ্য এমন বিধ্বংসী মেজাজে এ দিন দেখা গেল না। বোলাররা তো পুরো ফ্লপ। তবে মাইক হর্ন কিন্তু দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশে অভিভূত এবং এই দলের আইপিএলে ভাল কিছু করে দেখাতে না পারার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁর বক্তব্য, “দলটা বোধহয় প্রচুর গবেষণা করে করা। সে জন্যই দলটা ব্যালান্সড।”