ও দিকে যেমন ভারত-পাকিস্তান। এ দিকে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। ক্রিকেট হোক বা রাগবি, ফুটবল হোক বা নেটবল— খেলার মাঠে মুখোমুখি হওয়া মানে এই দুই দেশেই যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব। শনিবার ইডেন পার্কে ম্যাচ নিয়েও আবহাওয়া একই রকম উত্তপ্ত।
১৯৯২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের জয়ের পর দেশের মানুষ সারা বিশ্বকাপে দলকে যে রকম সমর্থন জুগিয়েছিল, সে রকমই সমর্থন এ বারও চাই ম্যাকালামদের। আজই ইডেন পার্কে আশা করি ৪০ হাজার দর্শক হবে। ১৯৮১-র বিখ্যাত আন্ডারআর্ম বোলিংয়ের ঘটনার পর সে বার ইডেন পার্কে যে রেকর্ড ভীড় হয়েছিল, তাও শনিবার নাকি ভেঙে যেতে পারে।
ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান ও নিউজিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে। ব্যাটে ঝড় বইয়ে বিপক্ষের হাত থেকে ম্যাচ বার করে নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বরাবরের কৌশল। শনিবারের ম্যাচেও নিশ্চয়ই ওরা সেই চেষ্টাই করবে। পরিবেশটাও সে রকম।
ইডেন পার্কে স্ট্রেট বাউন্ডারি বেশ ছোট। ৬০ মিটারের মতো। তাই মিড অন, মিড অফ আর বোলারের মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারার জন্য হাত নিশপিশ করবে ব্যাটসম্যানদের। তাই ম্যাচের ফল নির্ভর করবে পাওয়ার হিটারদের উপর। দু’দলেই দুর্দান্ত পাওয়ার হিটার রয়েছে। লড়াইটা ওয়ার্নার, ফিঞ্চ, ওয়াটসন, ম্যাক্সওয়েল, হাডিনের সঙ্গে ম্যাকালাম, গুপ্তিল, টেলর, অ্যান্ডারসন, রঞ্চির। একটা বারুদে ঠাসা যুদ্ধ হতে চলেছে নির্ঘাত।
এ রকম পরিস্থিতিতে বোলারদের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়। এই অবস্থায় ফাস্ট এবং স্লো দু’রকম শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিই করা উচিত। ব্যাটসম্যানদের স্কোয়ার অফ দ্য উইকেট খেলানোর চেষ্টা করতে হবে। শেষ দশ ওভারে ফুল লেংথ বল না ফেলাই ভাল। করলে নিঁখুত ইয়র্কার করতে হবে। ডেথে নিখুঁত ইয়র্কার দিতে না পারলে বিপদ। ওভারে ১৫-২০ তোলা কোনও ব্যাপারই নয়!