দিল্লিতে উৎকণ্ঠা, আবু ধাবিতে মেহফিল

প্রত্যাবর্তনের চাপ ভুলে ভাল খেলাই গম্ভীরের চ্যালেঞ্জ

আরও একটা আইপিএল মরসুম শুরু হতে চলেছে। আবু ধাবির খুব সুন্দর একটা স্টেডিয়ামে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই মাঠে আমি খেলিনি। তবে টিভিতে যা দেখেছি, মাঠটা খুব সুন্দর। আর বেশ বড়, যেটা দেখে ব্যাটসম্যান-সর্বস্ব টুর্নামেন্টে বোলাররা খুশি হবে। কয়েক মাস আগের নিলামে দুটো দলেই অনেক বদল হয়েছে। টুর্নামেন্ট-ফর্ম্যাটের এটাই মজা। কেকেআরের চেয়ে মুম্বই অনেক বেশি প্লেয়ার ধরে রেখেছে। প্রথম থেকেই কম্বিনেশনটা তৈরি করাই দু’দলের কাছে চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৮
Share:

আরও একটা আইপিএল মরসুম শুরু হতে চলেছে। আবু ধাবির খুব সুন্দর একটা স্টেডিয়ামে গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই মাঠে আমি খেলিনি। তবে টিভিতে যা দেখেছি, মাঠটা খুব সুন্দর। আর বেশ বড়, যেটা দেখে ব্যাটসম্যান-সর্বস্ব টুর্নামেন্টে বোলাররা খুশি হবে।

Advertisement

কয়েক মাস আগের নিলামে দুটো দলেই অনেক বদল হয়েছে। টুর্নামেন্ট-ফর্ম্যাটের এটাই মজা। কেকেআরের চেয়ে মুম্বই অনেক বেশি প্লেয়ার ধরে রেখেছে। প্রথম থেকেই কম্বিনেশনটা তৈরি করাই দু’দলের কাছে চ্যালেঞ্জ।

মুম্বই যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর মিচেল জনসনকে ছেড়ে দিল, দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। যদিও ওদের টিমে যথেষ্ট বারুদ এখনও আছে। গত বছর দারুণ নেতৃত্ব দেওয়া রোহিত শর্মা এ বারও দুর্দান্ত কয়েক জন ম্যাচ জেতানো প্লেয়ার পাচ্ছে। এই ফর্ম্যাটে ও নিজেও দারুণ, আর নেতৃত্বের দায়িত্ব ওকে আরও আত্মবিশ্বাস দেবে। রোহিত এমন এক জন প্লেয়ার, যার সব সময়ই বাড়তি সমর্থন দরকার। এই জন্যই ও মুম্বইয়ে এত সফল। টি-টোয়েন্টির আর এক ম্যাচউইনারকেও পাচ্ছে রোহিত লাসিথ মালিঙ্গা।

Advertisement

মালিঙ্গা শুধু দারুণ বোলারই নয়। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওর নেতৃত্ব সবাইকে চমকে দিয়েছে। রোহিত আর টিমকে যেটা সাহায্য করবে। বিশ্বকাপ ফাইনালে মালিঙ্গার স্পেল তো দুর্ধর্ষ ছিলই। তবে আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে পুরো ম্যাচ জুড়ে ওর ভাবনাচিন্তা। বিরাট কোহলি আর মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে ও যে নতুন ছক ব্যবহার করেছে, তা থেকেই মালিঙ্গার মানসিক স্কিল বোঝা যায়। আর বোঝা যায় মাঠে মালিঙ্গা যা-ই করে, তার পিছনে কিছু একটা কারণ থাকে। ওদের তারকা প্লেয়ার কায়রন পোলার্ডের প্রত্যাবর্তনও মুম্বইয়ের জন্য আশীর্বাদ।

উল্টো দিকে কেকেআর চাইবে তাদের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর এই মরসুমে টিমকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিক। কলকাতা যে বছর আইপিএল জিতল, সে বার গম্ভীর দুর্দান্ত হলেও তার পর থেকে যেন একটু ঝিমিয়ে গিয়েছে। জাতীয় দলে ফেরার বিশাল চাপও নিশ্চয়ই ওর উপর আছে। ওকে চেষ্টা করতে হবে সেটা সরিয়ে রেখে ম্যাচে ভাল খেলার। কাজটা সহজ নয়। কিন্তু এটাই গম্ভীরের চ্যালেঞ্জ।

ইউসুফ পাঠানের কাছ থেকেও দারুণ কিছুর আশায় থাকবে নাইটরা। কেকেআরে ওর সময়টা ভাল যায়নি। কিন্তু মালিকরা ওর উপর যে আস্থাটা রেখেছেন সেটা ওকে ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা দেবে। ভাল খেললে এই ফর্ম্যাটে ইউসুফ বিশাল ম্যাচউইনার। কেকেআরের সাফল্যের আর এক চাবিকাঠি জাক কালিস। টেস্ট ক্রিকেট থেকে সদ্য অবসর নেওয়া কালিস এই টুর্নামেন্টে ভাল খেলে দেখাতে চাইবে, ও এখনও আমাদের চেনা চ্যাম্পিয়নই আছে। কেকেআরের জন্য এটা খুবই ইতিবাচক ব্যাপার যে, কালিস স্বাধীন ভাবে খেলতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement