আটত্রিশ বছর আগে ইডেনে পেলের বিরুদ্ধে মোহনবাগান জার্সি গায়ে খেলেছিলেন ওঁরা। সেই শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, শ্যাম থাপা, প্রদীপ চৌধুরী, সুভাষ ভৌমিকরা পেলের দ্বিতীয় বার কলকাতায় আসার আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে ফের একত্র হলেন। সেই কসমস বনাম বাগান ঐতিহাসিক ম্যাচের স্মৃতিচারণায়। শুক্রবার এক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা সভায় যদিও ছিলেন না সুধীর কর্মকার, হাবিব-আকবর সহ সে বারের সবুজ-মেরুন কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
‘‘পেলে সে দিন বলেন বড় ফুটবলার হতে গেলে বড় মনের মানুষ হতে হবে’’, কম্পটন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যেন ফুটছিলেন। প্রদীপ চৌধুরী শোনালেন অজানা গল্প— ‘‘পেলের টিমের সঙ্গে ২-২ ড্র করার পর ভারতীয় দলের হয়ে জাম্বিয়ায় খেলতে গিয়ে দারুণ অভ্যর্থনা জুটেছিল কসমস ম্যাচের পারফরম্যান্সের জন্য। আমাদের অনেক সমসাময়িক ফুটবলার ওই ম্যাচ খেলতে না পারার জন্য এখনও আক্ষেপ করে।’’ আর গোলকিপার শিবাজী ফুটবলসম্রাটের ফ্রি-কিক সেভের গল্প শোনাতে গিয়ে আরও এক বার বললেন, সে দিন তাঁর গোলকিপার-পিতা সুবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (এখন প্রয়াত) থেকে পাওয়া টিপসের কথা। সোনালি স্মৃতিচারণের মাঝেই বর্তমান ক্লাব প্রশাসনের নাম না করে সেই ম্যাচের অধিনায়ক সুব্রত ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘অনেক ক্লাবই একশো, একশো পঁচিশ বছরের অনুষ্ঠান করছে। সেই সব ক্লাবের কর্তারা এ বার পেলের সামনে দুই প্রধানের একটা প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজন করতেই পারতেন।’’